কোথায় কোথায় Covid চিকিৎসায় বাড়ল বেড, দেখে নিন এখনই

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নির্বাচনের পর আবার কভিড নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হল রাজ্য সরকার। দায়িত্ব নিয়েই কভিড পরিকাঠামো পরিদর্শনে রাজ পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

এদিন দুপুরে নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তার সরকার অগ্রাধিকার হিসাবে কোভিড নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে। সেইমতো একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন তিনি। একই সঙ্গে আগের মতোই পথে নেমে কভিড পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলে।

বুধবার বিকেলে নবান্ন থেকে বেড়িয়ে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে যান তিনি৷ সেখান থেকে তিনি গিয়ে পৌঁছন ভবানীপুর পুলিশ হাসপাতাল। এই দুটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার৷ তারই পরিকাঠামো এদিন খতিয়ে দেখেন তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, জেলার হাসপাতালগুলিতেও কোভিড বেড আরও বাড়ানো হবে৷
এদিন পুলিশ হাতপাতালে মিনিট তিনেকের মত ছিলেন ৷

জানান, মোট 300টি শয্যা বাড়ানো হবে এখানে ৷ আগে ছিল 150টি শয্যা ৷ এখন তা বেড়ে হল মোট 450টি শয্যা ৷ আগামী 2 দিনের মধ্যে গোটা পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি ৷ পরিচালনায় থাকবে মেডিকেল কলেজ ৷ এখানেই অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর কথা বলেন তিনি ৷

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করেন রাজ্যের আইসিসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৩০০০ কোভিড বেড বাড়ছে রাজ্যে। এতদিন রাজ্যে ২৭০০০ কভিড বেড ছিল। তা বাড়িয়ে ৩০,০০০ করা হচ্ছে।নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোর ভারতীর পর এবার সল্টলেক স্টেডিয়ামকে কোভিড হাসপাতাল করা হল।

ভোট মিটতেই পুরনো পদে বহাল বীরেন্দ্র ও জাভেদ শামীম, সরানো হল পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএমকেও

সল্টলেক আমরি হাসপাতালের সহায়তায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে তৈরি হল ২২৩ বেডের কোভিড হাসপাতাল। এর মধ্যে রয়েছে ২১০টি জেনারেল বেড এবং ১৪টি ডরমেটরি। প্রতিটিতে ১৫টি করে বেড থাকছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সেগুলিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।

এছাড়াও দক্ষিণ কলকাতার শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতাল ও ভবানীপুর পুলিশ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হল৷ এদিন নবান্ন থেকে বেড়িয়ে বিকেলে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মমতা৷ সেখানে তিনি জানান, জেলার হাসপাতালগুলিতেও কোভিড বেড আরও বাড়ানো হবে৷

ভ্যাকসিন সংকট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেখানে কয়েক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছি, সেখানে কয়েক লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আমাদের অক্সিজেন নিয়ে অন্যান্য রাজ্য চলে যাচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সেখান থেকেই আপাতত অক্সিজেন আনছি।’

ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এদিন চিঠি লিখেছেন মমতা। তাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সংক্রমণ প্রতিহত করতে হলে বিনামূল্যে সার্বিক টিকাকরণে জোর দিতে হবে। তার জন্য বাড়াতে হবে টিকার জোগান।

সম্পর্কিত পোস্ট