প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা হয়েও ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত কোভিড হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোভিড পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা যেনো রিয়েল লাইফের হিরো। দিনরাত এক করে করোনা রোগীদের বাঁচাতে সচেষ্ট থেকে করোনা যোদ্ধা হিসাবে সমাজে স্বীকৃতি পেয়েছেন তাঁরা। তবুও ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা উপেক্ষিত।

উত্তর চব্বিশ পরগণার অনেক জায়গায় পরিস্থিতি এমনই। অতিমারির এই ভয়ঙ্কর সময় তাদের ভয় কাটাতে পাশে নেই কেউ। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর কোভিড হাসপাতালের আ্যাম্বুলেন্স চালাকরা যে তিমিরে ছিলেন সেই তিমিরেই আছেন।

অশোকনগর কোভিড হাসপাতালের চিত্র ভয়াবহ।বর্তমানে অশোকনগর কোভিড হাসপাতালে দশ জন আ্যম্বুলেন্স চালক আছেন। মাত্র দু‘জন করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন।

বাকিরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়েই আছেন। কবে তাদের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে। এইসব অ্যাম্বুলেন্স চালকদের দাবি তাদেরও পরিবার আছে। অন্যকে বাঁচাতে তারাও সমান ভাবে করোনাকে চ্যালেঞ্জ করে লড়াই করে চলেছেন।

এই হাসপাতালের আ্যাম্বুলেন্স চালক প্রশান্ত বৈদ্যের দাবি যে করোনা অতিমারির শুরু সময় থেকেই করোনায় আক্রান্ত মানুষকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে আসছেন তারা। সাধারন মানুষ করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির কথা শুনলে ছিটকে পালায়। সেই সময় তারা সেই আক্রান্তের কাছে পৌঁছে গিয়ে অসুস্থকে হাসপাতালে পৌছে দেন। আবার সুস্থ হলে সে মানুষকে তাকে পরিবারের কাছে পৌছে দেন।

রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়ে পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ করে দিল বনদপ্তর

গত এক বছর ধরে করোনার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে সামিল রয়েছেন তারা। তাদের আক্ষেপ এরাজ্য ভোট কর্মীরা করোনার টিকা পেয়ে গেওলে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে তাদের কপালে জুটল না টিকা। প্রথম অবস্থায় করোনার ভয়াবহতা না বুঝলেও বর্তমানের করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে তাদের মধ্যেও প্রাণেও ভয় ঢুকিয়েছে।

চালক তরুন প্রামানিকের দাবি হাসপাতালের অন্য কর্মীদের কাছে টিকার দরবার তারা করেছেন। কিন্তু আজও মেলেনি টিকার আশ্বাস। আর তাই স্বাস্থ্য কর্মীদের মত তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হোক। সেই দাবির কথাও তুলেছেন তারা।

এই কোভিড হাসপাতালের দশ জন আ্যাম্বুলেন্স চালকের মধ্যে মাত্র দু‘জন টিকা পেয়েছেন। বাকি আট জন চালককে টিকা সরকার দিয়ে দিলে তাঁরাও ভয় মুক্ত হতে পারেন দাবি অশোকনগর কোভিড হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকদের।

সদ্য নির্বাচিত অশোকনগরের বিধায়ক নারায়াণ গোস্বামী জানান, সমস্যার কথা তার নজরে এসেছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তিনি করবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট