স্টিংয়ের ঝাঁঝ , চোখ জ্বলছে বাংলার শাসক দলের
নয়ন রায়
নারদ মামলা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য ও কেন্দ্র। সিবিআই বনাম রাজ্যের লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবে, তারজন্য আগামীকাল অবধি অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই সুযোগকে শাসক দল হাতছাড়া করতে নারাজ।
গড়িয়াহাট থানায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। অভিযোগ দায়ের করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শুভেন্দু অধিকারীকেও অবশ্য ছাড়তে নারাজ তৃণমূল।
উল্টোদিকে সিবিআই শুভেন্দু সহ সৌগত, কাকলি, প্রসূন ও অপরূপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে। শুভেন্দু সেই সময় সাংসদ ছিলেন। এই নিয়ে মোট তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছে সিবিআই-র তরফে।
লোকসভায় এথিক্স কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। সিবিআইয়ের অভিযোগ লোকসভা থেকে কোনো অনুমোদন তারা সেই সময় পায়নি। আইনি মারপ্যাচে লড়াইয়ের ময়দান থেকে তৃণমূল ও বিজেপি পিছপা হতে নারাজ।
আপাতত চার জনের জেল হেফাজত হলেও মুকুল ও শুভেন্দুকে লড়াইয়ের ময়দানে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ শাসকদল।
Narada Case LIVE Updates: আজকের মত মামলা শুনানি শেষ, পরবর্তী শুনানি আগামীকাল দুপুর ২টো
নারদ মামলায় চার্জশিট হয়ে যাওয়ার পর কি কারণে আবার গ্রেফতার? তার ব্যাখ্যা নিয়ে শাসক ও সিবিআই তরজা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে চলল প্রায় আড়াই ঘন্টা।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়কে নিয়ে অল আউট অ্যাটাক লড়াইয়ে তৈরী শাসক শিবির তৈরি। আবার উল্টোদিকে ভেড়ার পাল কী করে রাজভবনের গেটের সামনে হাজির হল? কার মদতে হলো? নিরাপত্তার বিষয়ে তার ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্যপাল কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। টুইটারে ট্যাগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যপাল বারংবার রাজ্যের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এবার তাঁর নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন।
সব মিলিয়ে জমজমাট নারদ মামলা। এখন দেখার সিবিআই আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে নারদ মামলা নিয়ে কী রায় দেয়। আগামীকাল দুপুর ২ টো পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে চার অভিযুক্তকে।
অন্যদিকে সিবিআই এই মামলা অন্যরাজ্যে নিয়ে গিয়ে তদন্ত করতে চেয়েছে।একদিকে করোনার গ্রাফ যেমন উর্দ্ধমুখী। তেমনি উত্তপ্ত রাজনীতির পারদ। সেই সঙ্গে দড়ি টানাটানি খেলা শুরু। সবমিলিয়ে বাংলার মানুষের চোখ এখন হাইকোর্টে।