শুক্রবার ১২ টায় ফের নারদকাণ্ডের শুনানি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টো থেকে হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে শুরু হয় নারদকাণ্ডের শুনানি। প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি আইপি মুখার্জী, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি সোমেন সেন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। আজই চার হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে রায় দেবে আদালত?
১৭ মে চার হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখার্জী, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে নিম্ন আদালতে জামিন পেলেও বিষয়টি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। দুই বিচারপতির বেঞ্চে মতপার্থক্য থাকার কারণে উচ্চতর ডিভিশন বেঞ্চে চলে শুনানি। তবে চার নেতাকে গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ দেয় আদালত।
বুধবার মামলার শুনানির কথা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তা পিছিয়ে যায়। এর মধ্যে হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয় সিবিআই। এরপর এদিন মামলার শুনানি চলে। শুক্রবার দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হবে।
এদিন বারবার আদালতের কাছে সিআরপিসি ৪০৬ ধারার কথা উল্লেখ করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অর্থাৎ ১৭ মে অশান্তির কথা ভেবে মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের কথা বলেন তিনি। কিন্তু তাতে কোনও মত প্রকাশ করেনি আদালত৷
অন্যদিকে অভিযুক্ত চার নেতার অবিলম্বে জামিনের আবেদন চেয়ে সরব হন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।
মামলায় অন্য অভিযুক্ত প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জাকেও আনা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তবে মির্জার পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল লড়বেন না বলে জানিয়েছেন।
এসএমএইচ মির্জার নাম জড়ালেও কেন দুই বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর নাম থাকছে না? প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। পাল্টা তুষার মেহতা বলেন, দুই নেতার বিরুদ্ধে এখনও অবধি কোনও চার্জশিট তৈরি হয়নি।
এদিন নারদাকাণ্ডে নয় নম্বরে স্টেট অব ওয়েস্ট বেঙ্গলের নাম যুক্ত করা হয়েছে।