Mamata Banerjee Moves to HC: নন্দীগ্রাম ভোট মামলার শুনানী বৃহস্পতিবার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধনাসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিরকারীর কাছে মাত্র ২ হাজারের কাছাকাছি ভোটে পরাজিত হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার বেলা ১১ টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল শুনানির। কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার হবে মামলার শুনানি।

দিন তিনেক আগে দায়ের হওয়া এই মামলা শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে শুনানির কথা ছিল। কিন্তু তা পরে পিছিয়ে দেওয়া হয়। আদালতে মামলাকারী মমতা বন্দোপাধ্যায় অনুপস্থিত থাকায় পিছিয়ে দেওয়া হয় শুনানি। বৃহস্পতিবার মমতার আবেদনে ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টে হবে মামলার শুনানি। জনপ্রতিনিধি আইন আনুযায়ী নির্বাচনী মামলার আবেদনকারীকে উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত।

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারবেন কী না তা জানতে চায় আদালত। জবাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আইনজীবী সঞ্জয় বোস জানান, যা নিয়ম আছে তাই মানা হবে। মামলার শুনানির জন্য কৌশিক চন্দ্রকে বেছে নেন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। প্রথমে এবিষয়টি মেনে নিতে চাননি আইনজীবীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির একজন সক্রিয় সদস্য কৌশিক চন্দ্র।

দেড় হাজারের কাছাকাছি দেশে দৈনিক করোনায় মৃতের সংখ্যা

আদালতকে দেওয়া পিটিশনে তিনটি কথার উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এক, কমিশনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এমনকি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। দুই, নির্বাচনী প্রচারে ঘৃণা এবং সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করা। তিন, ধর্মের নামে ভোট ভাগ করা এবং বুথ দখল। পাশাপাশি ভোট গণনার ক্ষেত্রে গড়মিল এবং কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

একইসঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও। অভিযোগ, ২ মে গণনার সময় একাধিক গরমিল ও কারচুপি হয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের সহকর্মীরা পুনর্গণনার দাবি জানান। সেই আরজি খারিজ করে দেন রিটার্নিং অফিসার।

বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে ওই শুনানি শুরু হয়েছ ১১ টা থেকে। নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের সম্ভাবনা থাকেলও শেষ রাউন্ডের গণণায় জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের সেই ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে কাছাকাছি বাম ও তৃণমূল 

সেদিনই ২১ সি ফর্মে সই করে শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করে দেন। নিয়ম, ভোটের ফল নিয়ে অভিযোগ থাকলে ৪৫ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে হয়৷ সেই মত ফল প্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যেই হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা হয়েছে ৷

নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সূত্রে দাবি করা হয়েছে এই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না৷ ইলেকশন পিটিশন সংক্রান্ত নথি তাঁদের দেওয়া হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট