জম্মু-কাশ্মীরের ৮ টি দলের ১৪ জন নেতার সঙ্গে জরুরী বৈঠকে আজ মোদী
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের ৮ টি দলের ১৪ জন নেতাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ মর্যাদা হারনোর পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমবার বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও।
আজ বিকেল ৩ টে থেকে শুরু হবে এই সর্বদলীয় বৈঠক। সূত্রের খবর, ৩৭০ ধারা নয়, জম্মু-কাশ্মীরের বিকাশ নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
বৈঠকের পর ইউসুফ তারিগামী বলেন, শুধুমাত্র জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা ৩৫(এ) ফিরতের কথাই বলব না, কাশ্মীরের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার কথাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে তুলে ধরব। এর পাশাপাশি লাদাখের কথাও তুলে ধরব আমরা। সেইসঙ্গে শয়ে শয়ে যেসমস্ত নেতারা এখনও অবধি জেলবন্দী রয়েছে তাঁদের মুক্তির কথাও আমরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরব।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন গুপকর জোটের নেতারা৷ গুপকর জোটের তরফে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লাহ এবং সিপি(আই)এম নেতা ইউসুফ তারিগামী।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবগুলি বহিঃপ্রকাশ হতেই ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সকলেই। বৈঠক নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের অন্তিম সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি।
তবে পাকিস্তান নিয়ে মেহবুবা মুফতির মন্তব্যের পর উপত্যকার পথে নেমেছে শিবসেনা এবং ডোগরা। মঙ্গলবার পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আলোচনা করা দরকার। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই বয়ানের পরেই রাস্তায় নেমে বিরোধীতা করতে শুরু করেছে শিবসেনা এবং ডোগরা। মেহবুবা মুফতিকে দিল্লি নয় পাকিস্তান যাওয়ার নিদান দিচ্ছেন তাঁরা।
সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীর যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় তা আরও একবার মনে করাতে চাইছে কেন্দ্র। পাকিস্তানের সঙ্গে এবিষয়ে কোনওরকম আলোচনা নয়। কারণ, জম্মু-কাশ্মীরের শুভ চিন্তক ভারত৷ তা আরও একবার বৈঠকে মনে করাতে চাইছেন কেন্দ্রের নেতারা।