কড়া চিঠি অধীরকে, একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে ইস্তফা সোমেন পুত্র রোহনের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০২১ এর নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে কংগ্রেসের বিধানসভার বিধায়ক 0 কংগ্রেস। আর সেই কারণেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে একেরপর এক ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। বর্ষীয়ান নেতা আবদুল মান্নান প্রথম সেই পথে পা বাড়ান।
এবার তাঁর পথে হেটে সৌমেন পুত্র তথা কংগ্রেস নেতা মোহন মিত্র বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন। অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সম্প্রতি কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়ে পদত্যাগের কথা জানালেন সোমেন পুত্র রোহন মিত্র।
প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আজ প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। তার আগেই ইস্তফাপত্র বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সেই চিঠিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দল পরিচালনা নিয়ে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন অধীর জামানায় বারবার অপমানিত হয়েছেন তিনি। সৌমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীন যুব কংগ্রেস নির্বাচনে কিভাবে তাকে হারানো হয়েছিল তাও উল্লেখ রয়েছে সেখানে।
চিঠিতে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন না তুললেও দল পরিচালনার ক্ষেত্রে বা সংগঠনের ক্ষেত্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরী যাদের উপর দায়িত্ব দিচ্ছেন তাঁরা কতটা যোগ্য সে নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন তাঁদের গ্রহণযোগ্যতার অভাবের কারণেই কংগ্রেসের এই হাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর নতুন করে কংগ্রেসকে সাজানোর কোন উদ্যোগ সেই অর্থে চোখে পড়ছে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
PAC চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পূর্ন আইন মেনেই হয়েছে, বিরোধীদের পাল্টা জবাব স্পিকারের
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে আইএসএফের সঙ্গে জোট ভালোভাবে নেননি তিনি। বাংলার কংগ্রেসের ক্ষতি করছেন আব্দুল মান্নান এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এই মর্মে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন রোহন। তবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী যে আইএসএফের সঙ্গে জোটের পক্ষে ছিলেন না সেকথা তিনি পরবর্তীতে প্রকাশ করেছেন বিভিন্নভাবে।
উল্লেখ্য দিন কয়েক আগেই প্রয়াত ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বেের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তারপর থেকে ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠেছে উপনির্বাচনে হয়তো জঙ্গিপুর নাহলে সামশেরগঞ্জ থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন তিনি। তারপর সৌমেন পুত্র রোহন মিত্রের এভাবে পদত্যাগ নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের ভেতরের ফাটলকে আরো স্পষ্ট করে তুলছে।
আজকের বৈঠকের পর কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বঙ্গ কংগ্রেসের তরফে সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।