দেশের রাজধানীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায় পড়ুয়ারা, দিল্লি সরকারের রিপোর্ট চাইল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়া্র’-এর একটি রিপোর্ট দেখে নড়েচড়ে বসল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিশন দিল্লি সরকারের রিপোর্ট চাইল। উল্লেখ্য, গত মার্চে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘দ্য ওয়ার’।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘সড়ক সে সংসদ’-এর প্রথম এপিসোডে ‘দ্য ওয়ার’ প্রকাশ করে একটি রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়, দেশের রাজধানী দিল্লিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায় পড়ুয়ারা।ওই পড়ুয়ারা তাঁদের গ্রাম ছিল্লা খাদার থেকে নৌকায় করে যমুনা নদী পার হয়ে আধঘণ্টা হেঁটে স্কুলে যায়। এই রিপোর্ট দেখার পর বিস্ময় প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

এ ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেছে কমিশন। সেই সঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি সরকা্রকে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ সঙ্কটে রাজনীতি, হারাচ্ছে সৌজন্যতা, চলছে কদর্য ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ

এক বিবৃতিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, দিল্লির ছিলা খাদার গ্রামে স্কুল না থাকার কারণে সেখানকার ছেলেমেয়েরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যমুনা নদী পার হয়ে প্রতিদিন স্কুলে যায়। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টকে বিচারের বিষয় হিসাবে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে গ্রহণ করেছে কমিশন।

কমিশন বলেছে, এভাবে নৌকায় চেপে যমুনা পার হওয়ার পর আধঘণ্টা হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করা ছাত্রীদের পক্ষে কখনই সহজ নয়। কোনও দিন নৌকা না পেলে মোটরবিহীন পথে দু’কিলোমিটার পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। এনিয়ে দিল্লি সরকারের মুখ্যসচিবকে নোটিশ করেছে কমিশন।

সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের খবরের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকারি স্কুলের কর্মকান্ড নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছে।কমিশনের পর্যবেক্ষণ, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি গুরুতর মানবাধিকারের লঙ্ঘনের ঘটনা। বিস্ময়েরও। কেননা দেশের রাজধানীতে ছেলেমেয়েরা শিক্ষা নেওয়ার জন্য এতটা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। অথচ, ভারতের সংবিধানের ২১এ ধারায় শিক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসাবে সুনিশ্চিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিক্ষার অধিকার আইনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়ারা এক কিলোমিটারের থেকে দূরে স্কুলে যাবে না। অন্যদিকে, স্কুলে যাওয়ার জন্য তিন কিলোমিটারের বেশি দূরে যাবে না উচ্চ-প্রাথমিকের পড়ুয়ারা।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দিল্লি সরকারের শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেছেন, ওই অঞ্চলের তিন কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে স্কুল আছে কিনা সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত নন।

এটাও একটি খবরে প্রকাশিত হয়েছে যে, নৌকা না পাওয়া গেলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পৌঁছাতে আরও দেরি হয়।

সম্পর্কিত পোস্ট