TMC বিধায়করা আগে CBI-ED থেকে রেহাই পান, তারপর BJP বিধায়কদের দলত্যাগ নিয়ে ভাববেন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নিয়মিত শরীরচর্চার পর মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঙ্কার প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেন।
ইডি দফতর থেকে টানা ৯ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপির ২৫ জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি জানি না পঁচিশ না পঞ্চাশ। আমাদের পার্টিতে অনেক নেতা এসে বলেছিল একশো আছে দেড়শো আছে। এসব ডায়লগ দিতে হয়। আগে তো ওনাদের বিধায়ক সাংসদরা ইডি সিবিআই থেকে বাঁচুক। তারপর আমাদের বিধায়ক সম্পর্কে ভাববেন।“
উল্লেখ্য, সোমবার রাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন জীবন দেবো। কিন্তু মাথা নত করব না। তীব্র আক্রমন শানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “জীবন কোথায় দিচ্ছেন। জীবন নিয়ে তো পালিয়ে গেল নেতারা। ৯ ঘন্টা যদি ইডি জেরা করে তখন লোকে অনেকেই আবলতাবোল বকে। সবে তো শুরু হয়েছে।“
৩টি বিধানসভা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে বিশেষ নজর, কমিশনের চিঠি রাজ্যকে
তাঁর কথায়, যে নেতারা ভুবনেশ্বর গিয়েছিলেন তাদের চেহারাই পাল্টে গিয়েছিল। এতদিন ভেবেছিল পুলিশ সিআইডি দিয়ে চালিয়ে দেবেন। চমকে রেখে দেবেন। যা ইচ্ছা করবেন। ওনাদের রাজত্ব কালে কয়লা-বালি-পাথর লুঠ হয়েছে। গরু পাচার হয়েছে। একটা পার্টি অফিসিয়ালি এই কারবার গুলো করছে তাদের সব নেতা জড়িত। না পুলিশ কমপ্লেন নেয় এখন সিআইএসএফ দেখানো হচ্ছে।“
দিলীপ ঘোষ বলেন, আইন শৃংখলা কার হাতে আছে? ওরা পাহারা দেয় তাই বলে চুরি করবেন। এতদিন এই কমপ্লেন করতে করতে কোর্টও শুনেছে। তারা কোনো না কোনো স্টেপ নিচ্ছে। তাই তাদের নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে নিচ্ছেন, কতটা সৎ ছিল ওরা।“
এদিনই ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে যে আইনি প্রক্রিয়ার কথা তাঁরা বলেছিলেন সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। দিলীপ ঘোষ বলেন, “সিদ্ধান্ত হয়নি। আইনি পথে যাওয়ার আছে কি না সেটা নিয়ে আইনজীবীরা দেখছেন। সেটা নিয়ে আজকে বসা হবে। যদি মনে তাহলে যাবো।“