গাছ বিতরনের টাকায় দুর্নীতি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুরুতর জখম পঞ্চায়েত প্রধান
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গাছ বিতরনের টাকার বিল পাশ করানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের সঙ্গে যুব তৃণমূল নেতার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, মারপিট পর্যন্ত শুরু হয়। এমনকী ছুরি দিয়েও আঘাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের বাতানল গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
গোটা ঘটনায় গুরুতর যখম হয়েছেন প্রধান। আক্রান্ত হয়েছেন যুব তৃণমূল গোষ্ঠীর কর্মীরাও। প্রধান ও অপর গোষ্ঠীর এক কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্ত প্রধানের নাম দিলিপ রায়। আর আক্রান্ত যুব কর্মীর নাম সেখ শাহজাহান।
যুব কর্মীদের অভিযোগ,২০২০ সালের প্রথম দিকে এই গ্রাম পঞ্চায়েতেে ২২ সংসদের কুড়ি জন করে প্রত্যেককে কুড়িটি করে গাছ দেওয়া হয়েছিল। আর তার সঙ্গে পরিচর্যা করার জন্য প্রত্যেককে নগদ ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। তাতে ১৫ লাখ টাকার বিল করা হয়। কিন্তু হঠাৎই দেখা যায় সেই ১৫ লাখ টাকার বিল পাশ করানো হয়েছে ৫৬ লক্ষ টাকার।
এই অনিয়ম দেখে প্রতিবাদ করা হয়েছিল। তখনই প্রধান প্রতিবাদীদের দিকে তেড়ে আসে ও মারধর করে। অভিযোগ ছুড়ি দিয়ে এক প্রতিবাদীকে আঘাত করা হয়। তাতে তিনি রক্তাক্ত হন। অপর দিকে আক্রান্ত প্রধান দিলিপ রায়।
৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফের অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়কে তলব ED-র
তাঁর অভিযোগ, “ওসব গাছ নিয়ে কোন গন্ডগোল নয়। আমি এসসি ঘরের ছেলে। আর যুব তৃণমূল নেতা পলাশ রায় সেটা চান না। ওনারা কোনো বাগদি প্রধানকে পদে দেখতে চান না। তাই নানান কারণে-অকারণে আমাকে হেনস্থা কর হয় বারে বারে। পলাশ রায়ের ইন্ধনে ওর অনুগামী যুব কর্মীরা আমাকে আমার অফিস রুম থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। আমার চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। কাগজ পত্র সব কিছু তছনছ করে দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে বুকে,পেটে,মাথায় আঘাত করা হয়েছে। আমি ওদের চিনি। ওরা পলাশের লোকজন। আমি এর প্রতিবাদ করেছি। থানাতেও জানিয়েছি।”
আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুনধর খাঁড়া বলেছেন, “প্রধানকে জঘন্য ভাবে আক্রমন করা হয়েছে৷ যারা এই কাজ করেছে তারা আর যাই হোক তারা দুষ্কৃতী। তবে ঘটনার জেরে আক্রান্ত প্রধানকে হাসপাতালে দেখতে যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুনধর খাঁড়া। আরামবাগের প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা সহ একাধিক নেতৃত্ব।
এই বিষয়ে যুব তৃণমূলের আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি পলাশ রায় বলেছেন,”আমি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না। যা বলার দল বলবে।যা ব্যবস্থা নেওয়ার দলই নেবে। কে কি বললেন আর না বললেন সেটা আমি জানি না।”