সন্ত্রাসকে যারা ব্যবহার করছেন তাঁদের জন্য সন্ত্রাস বিপজ্জনক, নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা মোদির
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: শনিবার নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই নাম করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে তাঁদের জন্যেও সন্ত্রাসবাদ বিপজ্জনক।
আফগানিস্তানের এই পরিস্থিতির সুযোগ যেন না কেউ নিতে পারে। আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ এবং মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়ে এবং আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ যাতে না বাড়তে পারে সেই জন্য সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
সন্ত্রাসবাদের পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো একাধিক জঙ্গি সংগঠনের বাঘা বাঘা সর্দারদের উপস্থিতি নজরে এসেছে। আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের উপস্থিতিও পাকিস্তানে মিলেছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি আক্রমণ যে পাকিস্তানের দিকেই রয়েছে এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই৷
এর আগে জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা নিয়ে ভারতের কড়া সমালোচনা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার জবাবে ভারত জানায়, পিছনে সন্ত্রাসবাদকে সুযোগ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির ওপর আঘাত আনতে চাইছে। যার ফল সারা বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে।
এছাড়াও এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে৷ আফগানিস্তানে সংখ্যালঘুরা বিপদের মধ্যে রয়েছেন। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব। আমরা ভারত মহাসাগরকে সঠিক উদ্দেশ্যে যাতে ব্যবহার করতে পারি সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে৷
বাণিজ্যিক কার্যকলাপের জন্য ভারত মহাসাগর একটি উন্মুক্ত অঞ্চল। কীভাবে এর ব্যবহারিক প্রয়োগের বৃদ্ধি ঘটানো যায় সেদিকে নজর দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে করোনার প্রসঙ্গ। গত দেড় বছর ধরে সারা বিশ্বে করোনার প্রকোপে যারা মারা গিয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।
এছাড়াও করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের ভুমিকাও তুলে ধরেন তিনি। এদিন সমস্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে ভারতে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে ষষ্ঠ ব্যাক্তি ভারতীয়। ভারত এগোলে সারা বিশ্ব এগিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ভারত ডিএনএ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করেছে। এর মাধ্যমে ১২ বছরের উর্ধ্বে সকলে ভ্যাকসিন পাবে৷ এছাড়াও আরএনএ ভ্যাকসিনের প্রস্তুতি অনেকটা এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।