বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আকাশপথে দক্ষিণে পাড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সাম্প্রতিক বর্ষণ এবং ডিভিসির বিভিন্ন জলাধার থেকে ছাড়া জলে এখনো পর্যন্ত রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাইশ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার বিকেলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি পর্যালোচনা বৈঠক করেন। পরে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বীবেদি সাংবাদিকদের বলেন এখনো দামোদর, রূপনারায়ন, অজয় সহ বিভিন্ন নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
প্রাথমিকভাবে পর্যালোচনায় পরে এক লক্ষের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বহু জায়গায় কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে বলে তিনি জানান। চার লক্ষের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্গতদের জন্য দেড় হাজার ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে এবং সেখানে দুই লক্ষ মানুষ আশ্রয়ে রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি তে আট কলাম সেনা ছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় বাহিনীর ২৫টি এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২৪টি দল কাজ করছে। বিভিন্ন জেলায় পরিস্থিতি তদারকি করার জন্য মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সদস্য ও আমলাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গোয়ায় বাড়ছে ঘাসফুলের দাপট, আজই যোগদান দুই প্রতিভাবানের
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোলে তদারকি করছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটক। হুগলির পরিস্থিতি দেখছেন ফিরহাদ হাকিম ও বেচারাম মান্না। এছাড়া বন্যাত্রাণের জন্য সাধারণ মানুষকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের আর্থিক সাহায্য করার জন্যও আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই পরিস্থিতিতে আজ, বন্যা (Flood) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আকাশপথে পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সকাল পৌনে বারোটা নাগাদ হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে রওনা দেবেন তিনি। আকাশপথে প্লাবিত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আরামবাগের দৌলতপুরে হেলিপ্যাডে নামবেন মমতা।
রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে (DVC) কে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ঝাড়খন্ডে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওরা আমাদের না বলে রাত তিনটের সময় আসানসোলের জল ছেড়েছে। ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টি হলেই আমাদের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিহারে বৃষ্টি হলে আমাদের ফেস করতে হচ্ছে। ওরা যদি ওদের জলাধার গুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে তাহলে অনেক জল ধরতে পারে।”
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ওরা প্রায় ৫০ বছর ধরে জলাধার পরিস্কার না করায় জলাধারগুলির জলধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে।