বাধা দেওয়া হয়নি ভাষণে, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়ে খুশি রাজ্যপাল
এদিন সমাবর্তন উৎসবে নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর প্রথমেই বিশেষ অতিথি সংঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন। এরপরে তিনি বেকারত্ব নিয়ে তাঁর চিন্তা ব্যক্ত করেন।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন উৎসবে যোগ দিলেন রাজপ্যাল জগদীপ ধনকর।
এক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতা কলকাতা বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত হয়নি। এমনকি বাধা দেওয়া হয়নি ভাষণ রাখতেও।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে জানালেন রাজ্যপাল স্বয়ং।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন উৎসবে যোগদান করতে মঙ্গলবার ভাষণে রাজ্যপাল তুলে ধরলেন শিক্ষা, দেশ ও রাজ্য রাজনীতির বিভিন্ন আলোচনা।
সমাবর্তন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসব চৌধুরী ও ইন্ডিয়ান স্ট্যটিসটিকাল ইনস্টিটিউটের সংঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায়।
এদিন সমাবর্তন উৎসবে নিজের বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর প্রথমেই বিশেষ অতিথি সংঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন।
এরপরে তিনি বেকারত্ব নিয়ে তাঁর চিন্তা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুনঃ ৪৮ ঘন্টা পর বনদফতরের জালে সাদা ডলফিন
তিনি রাজ্য প্রসঙ্গে তাঁর দর্শন ও মতানৈক্য নিয়ে বলেন, একযোগে কাজকেই প্রাধান্য দেওয়ার দিতে হবে। রাজ্যপাল এদিন আবার সংস্কৃতির পীঠস্থান এই রাজ্যে একের পর এক ঘটে চলা হিংসার কথাও উল্লেখ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যে হিংসার আবহ নিয়ে
মঞ্চে তাঁর সমাবর্তন উৎসবের ভাষণেই রাজ্যে হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তবে ছাত্রদের উপদেশ দেওয়ার ফাঁকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সুখ্যাতিও করলেন তিনি।
তিনি বলেন যে তিনি বারাসাতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার আগে সন্দিহান ছিলেন আদৌ বক্তব্য পেশ করতে পারবেন কিনা।
তিনি মঞ্চেই জানান এনিয়ে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয়। তিনি ভাবিত ছিলেন কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত এখানেও বক্তব্য পেশ করতে বাধা পেতে পারেন।
স্বাভাবিকভাবেই আচার্যর ভাষণ সমাপ্ত করতে পেরে তিনি যে খুশী তা প্রকাশ করেন এদিন।