প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরে মালদায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, জেলা সভাপতিকে বেনজির আক্রমন চেয়ারম্যানের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী ও জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ। তোলাবাজ বলে আক্রমণ রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান সদস্য ও বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা আলমগীর রেজা চৌধুরীর।পাল্টা হুঁশিয়ারি জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর। বৈষ্ণবনগরের পাশাপাশি রতুয়াতে প্রকাশ্যে তৃণমূলের সংঘাত।
তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মালদা জেলা জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। মঞ্চ বেঁধে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বৈষ্ণবনগরের পাশাপাশি রতুয়ায় দুটি মঞ্চ তৈরি হয়। একদিকে রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি ফজলুর হকের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়।
অন্যদিকে ৫০০ মিটারের মধ্যে রতুয়া ব্লক অফিস মোড়ে বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। ব্লক সভাপতির প্রতিষ্ঠা দিবস মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমান সদস্য আলমগীর রেজা চৌধুরী।
বক্তব্য রাখার সময় তিনি জেলা সভাপতি ও বিধায়ককে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “গাড়ি নিয়ে কলকাতা,মালতিপুর,কোচবিহার ঘুরে বেড়াও। মানুষকে পরিষেবাকে দেবে এই আলমগীর রেজা চৌধুরী। আর এই আলমগীর চৌধুরীকে বহিস্কার করেছে সমর মুখার্জি। ওর বাপের দল নয়, আমার বাপের দল নয়> দলটা মমতা ব্যানার্জির। যদি মমতা ব্যানার্জি আমাকে সাসপেন্ড করে স্বইচ্ছায় বেরিয়ে যাব। তুমি যদি আমাকে বহিষ্কার করো আমি এই মঞ্চ থেকে ঘোষণা করছি আমি তোমাকে বহিষ্কার করলাম।”
ফের ঘাসফুলে প্রার্থী কাঁটা, পুরভোটে লড়তে চান মোহন বসু ; টিকিট নিয়ে ধোঁয়াশা
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “খবর আছে রতুয়া ব্লকের যতগুলো ডিলার আছে তাদের কাছ থেকে সমর মুখার্জি রহিম বক্সী ৫ লক্ষ টাকা করে কমিশন নিচ্ছে। আপনারা ভালো করে জানেন ইরিগেশনের জায়গা আমার। রহিম বক্সীর লাঠির জোরে সেই জায়গা দখল করে রেখেছে। মালতিপুরে এমন কোন পরিবার নেই যেখান থেকে দু লাখ, চার লাখ করে টাকা তোলেনি। আমরা তৃনমূল আছি তৃণমূল থাকবো।”
পাল্টাসুর চড়িয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। এদিন আলাদা মঞ্চ থেকে আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ঠআজকে সমস্ত জনপ্রতিনিধি অঞ্চল নেতৃত্ব সময় মুখোপাধ্যায়ের পাশে বসে আছে। চক্রান্ত করা হচ্ছে যাতে মমতা ব্যানার্জির কানে পৌঁছে দেওয়া যায় এরা যোগ্য লোক নয় এরা দল বিরোধী কাজ করে। যাতে সভাপতি চেয়ারম্যান সরে যায়। আপনার ঘরের মানুষ, আপনার এলাকার মানুষ এই পদে আছে। আপনার গর্ব হওয়া উচিত ছিল। আজকে গোটা মালদা জেলার মানুষ রতুয়ায় আসে। আপনি রতুয়া মানুষ হিসেবে গর্ববোধ না করে সব সময় কালিমালিপ্ত’ করতে চাইছেন।”
একইসঙ্গে তিনি জানান, ” কিছু মানুষ দলটাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আপনারা বিচার করবেন। যারা দলকে কালিমালিপ্ত করেছে দলের বিরোধিতা করছে তারা দলের লোকেরা দলের বন্ধু কিনা তা বিচার করতে হবে। পার্টি একটা শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে চলে। আপনার কোন অসুবিধা হলে অঞ্চল কমিটিকে জানান প্রয়োজনে রাজ্য কমিটি পর্যন্ত যান। বিজেপির ঝান্ডা থাকলে লোক আসবে না। তাই তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে যারা দলটাকে বদনাম করার চক্রান্ত করছে তাদেরকে হুট আউট করতে হবে আপনাদেরই।”