Subhash Bhowmick: পিকের ‘ভোম্বল’ আর নেই, কলকাতা ময়দানের আরেক তারা খসে পড়ল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পিকে বন্দোপাধ্যায় আদর করে তাঁর নাম দিয়েছিলেন ভোম্বল। বরাবরের মেজাজি-একগুঁয়ে আবার বন্ধুবৎসল সুভাষ ভৌমিকের আচরণ সত্যিই ভোম্বলের মতো ছিল। বাংলার এই ফুটবলার খেলোয়াড়ি জীবনের পাশাপাশি দাপুটে কোচ হিসেবেও নিজের পরিচিতি করে নেন। শনিবার সকালে সেই সুভাষের চলার পথ থেমে গেল। কিডনির অসুখ নিয়ে ভর্তি ছিলেন কলকাতার একবালপুর নার্সিংহোমে। পরে তাঁর করোনা সংক্রমণও ধরা পড়ে।
১৯৫০ সালে মালদহে জন্মেছিলেন সুভাষ ভৌমিক । বহু প্রতিকূলতা পেরিয়ে উত্তরবঙ্গ থেকে এসে মাত্র ১৯ বছর বয়সে কলকাতা ময়দানে খেলা শুরু করেন তিনি। তাঁর পায়ের জোর ও অদম্য গোল খিদে তাঁকে ‘বুলডোজার’ নামে পরিচিতি দেয় কলকাতা ময়দানে।
যে ১১ বছর খেলেছিলেন তাতে সমানতালে কলকাতার দুই বড় ক্লাব মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেছেন। ৬ বছর মোহনবাগান এবং ৫ বছর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেন সুভাষ ভৌমিক । বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি জেতার পাশাপাশি দেশের হয়ে এশিয়ান গেমসে (১৯৭০) ব্রোঞ্জও জিতেছিলেন।
পরবর্তীকালে ফুটবল কোচিংয়েও আসেন এই দাপুটে ফুটবলার। কোচিং জীবনেও মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গলে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তবে তাঁর সেরা সাফল্য ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ২০০৩ সালে আশিয়ান কাপ জয়। আন্তর্জাতিক এই টুর্নামেন্টে তাঁর জন্যই ইস্টবেঙ্গল সফল হয়েছিল বলে আজও মনে করেন সর্মথকরা।
দেউচা পাচামি কী? কেন মমতা এই ‘অসম্ভব’কে সম্ভব করতে চাইছেন? পর্ব-১
২০১৮ সালে শেষ ইস্টবেঙ্গলকে কোচিং করে কলকাতার ময়দান থেকে বিদায় নেন সুভাষ ভৌমিক । সেই সময় নিজের চাকরি জীবনে বেশ কিছু সমস্যায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ধীরে ধীরে কলকাতা ময়দানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কমতে থাকে।
এর কিছুদিন পর থেকেই কিডনির অসুখে ভুগতে শুরু করেন কলকাতা ময়দানের ভোম্বল। সম্প্রতি বাড়াবাড়ি হলে তাঁকে একবালপুরের এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এই খবর জানতে পেরে তৎপর হয় রাজ্য সরকার।
ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শুক্রবার জানান রাজ্য সরকার সুভাষ ভৌমিকের চিকিৎসার যাবতীয় দায়ভার বহন করবে। এই নিয়ে প্রাক্তন ফুটবলারদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন তিনি। কিন্তু কাউকে কিছু করতে না দিয়ে, কারোর সাহায্য না নিয়ে জীবনের শেষ পর্বেও দাপটের সঙ্গে বিদায় নিলেন সুভাষ ভৌমিক। কলকাতা ময়দান আজীবন তাঁকে মনে রাখবে।