#CoronaEffect: আইপিএলের ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার খানিক পরই বিসিসিআই সূত্রে জানা যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হল আইপিএল।
বুধবার সেই খবরেই সিলমোহর দিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। জানিয়ে দেওয়া হল এমন পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই টুর্নামেন্ট করা যাবে না।
এবার প্রশ্ন হল তবে শীতকালে আয়োজিত হতে পারে আইপিএল? তেমন সম্ভাবনা ক্রমেই ক্ষীণ হচ্ছে। কিন্তু কেন?
মহামারির জেরে আইপিএলের আসর না বসলে কমপক্ষে আড়াই হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে বিসিসিআইয়ের। এই বিপুল ক্ষতি পূরণের জন্য শীতকালে কি টুর্নামেন্ট করার ভাবনা চিন্তা রয়েছে বোর্ডের?
আরও পড়ুনঃ কলকাতা–সহ দেশের ছ’টি মেট্রো শহরই করোনার হটস্পট , জানাল কেন্দ্র
এ প্রশ্নের উত্তরে বিস্তারিত কিছু বলতে না চাইলেও এক কর্তা জানান, দর্শকশূন্য মাঠে আইপিএল আয়োজন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তাছাড়া এখন পরবর্তী দিনক্ষণের কথা না ভেবে দেশবাসীর সুরক্ষার কথা ভাবা বেশি জরুরি। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে।
বাস্তবিকভাবে শীতকালে আইপিএল আয়োজনের বেশ কিছু সমস্যা আছে। কারণ সেপ্টেম্বরেই এশিয়া কাপ হওয়ার কথা।
প্রথমে তা পাকিস্তানে হবে বলে জানানো হলেও ভারত বিরোধিতা করায় দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে হবে বলে ঠিক হয়। তারপরই অক্টোবর–নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে বলে জানিয়েছে আইসিসি। তারপর আবার রয়েছে ভারত–অস্ট্রেলিয়া সিরিজ।
এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড চেয়ারম্যান এহসান মানি সাফ জানিয়ে দেন, আইপিএল আয়োজনের জন্য তাঁরা কোনওভাবেই এশিয়া কাপ বাতিল করার পক্ষে নন।
তিনি বলেন, ‘এব্যাপারে ভারত আর পাকিস্তান মিলে শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। এতে অন্য দেশও খেলে। তবে স্পোর্টস ইভেন্ট নতুন করে শুরু করা গেলে এশিয়া কাপ হওয়া জরুরি। কারণ এ থেকে এশিয়ার ক্রিকেট খেলীয় দেশগুলিতে টাকা আসে। এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের অন্তর্গত দেশগুলির কাছে এই টুর্নামেন্ট তাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মুম্বইয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই আইপিএলে পাক ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল।
এমন অবস্থায় আইপিএলকে জায়গা করে দিতে এশিয়া কাপ কোনওভাবেই বাতিল করতে চায় না পাক বোর্ড। তাই সবমিলিয়ে আইপিএলের ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে।