দূর্বল পরিকাঠামো – করোনা বিরোধী লড়াই লড়ছে বিচ্ছিন্ন গাজা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দু’দশকের কাছাকাছি অবরুদ্ধ জীবন। এক চিলতে জমিতে দুনিয়ার সর্বাধিক জনঘণত্বের একটি শহর গাজা সিটি। চারিদিকে কড়া ইজরায়েলি পাহারা।
প্রায় অবরুদ্ধ এই ফিলিস্তিনি জাতিসত্তার সংঘর্ষময় এলাকায় করোনা ছোবল তেমন নেই। কারণ একঘরে হয়ে থাকা।
১৪ বছর ধরে ইজরায়েল অবরুদ্ধ করে রেখেছে প্রতিপক্ষ সশস্ত্র ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের ঘাঁটি গাজা। ভূমধ্যসাগর তীরে এই শহর থেকেই ইজরায়েলের উপর রকেট হামলা চালায় হামাস।
আর ইজরায়েলি মিসাইল ও সেনার হামলায় মৃতুপুরী হয় রাজা। এমনই বিতর্কিত গাজা ভূখণ্ডের করোনা মোকাবিলায় চমকে গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
কেউ পাতা তো কেউ বোতল অথবা টিন ও কাপড়ের টুকরো দিয়ে মাস্ক বানিয়েছেন গাজার নাগরিকরা। সেই ছবি ছড়িয়েছে দুনিয়ায়। এমনই সব চমকে দেওয়া মাস্ক নিয়ে করোনা রুখতে লড়াইয়ে নেমেছে বিচ্ছিন্ন গাজা।
আরও পড়ুনঃ করোনা–যুদ্ধে হিমালয়ের পাশে থাকার বার্তা, আল্পসে ভেসে উঠল ভারতীয় পতাকা
ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসেব, গাজার প্রতিবেশী ইজরায়েলে করোনাভাইরাসে মৃত ১৭০ জনের বেশি।
কিন্তু ফিলিস্তিনি এলাকা গাজায় নেই মৃত্যু। তবে বাকি প্যালেস্টাইন অঞ্চলে দু জনের মৃত্যু সংবাদ এসেছে। ইজরায়েলের অবরোধ ভেঙে কোনও অবস্থাতেই মূল প্যালেস্টাইনের শাসকপক্ষ গাজায় কিছুই পাঠাতে পারেনা।
স্বাভাবিকভাবেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতেও তাদের পক্ষে কিছুই করার নেই। এদিকে চিন থেকে এই ভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তেই ইজরায়েল এবং মিশর তাদের সীমান্তের চেকপোস্ট যতটুকু খোলা ছিল তাও বন্ধ করে।
এতে আরও বিপাকে পড়েন গাজার বাসিন্দারা। অপর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং দূর্বল পরিকাঠামো নিয়েই শুরু হয় তাদের করোনা বিরোধী লড়াই। দরকারি মাস্ক-তাও অপ্রতুল।