মারণ রোগ মোকাবিলায় রাজ্যের সার্বিক ভূমিকা অনেক রাজ্যের চেয়েই ভালো ও দৃষ্টান্তমুলকঃ খাদ্যমন্ত্রী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোভিডকে জয় করতে হবে। আমফান বিধ্বস্ত মানুষদের সহায়তা করতে হবে। আর এসময় সংকীর্ণ রাজনীতি না করে “শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ” বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে আহ্বান খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ষাট লক্ষ কুপন ধার্য করার ঘোষণা করলেন খাদ্যমন্ত্রীর।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতে জেলাপরিষদ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানালেন কোভিড ও আমফানের জাঁতাকলে পড়ে মানুষ বিপর্যস্ত। এই ক্রান্তিকালে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছেন, বিরোধী দলগুলির নেতারা আর ঘরে না বসে না থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ান, আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর।
এদিন বিজেপির প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ প্রথমে অযৌক্তিকভাবে কোভিড মোকাবিলায় লকডাউনের বিরোধিতা করে স্তব্ধ হলেও এই সময় বিরোধীদের কেউ কেউ “ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও “স্লোগান তুলছেন। যা অসময়োচিত।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, এখন মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে হাঁটতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়াতে হবে। এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর দাবী, কোভিড সংকটে ভাইরাস মোকাবিলা বা লকডাউনের পরে পরিযায়ী শ্রমিক পুনর্বাসনে সার্বিক ভাবে রাজ্যে এগিয়ে।
তিনি জানান কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর জাতীয় গড় যেখানে শতকরা তিনের বেশী সেখানে রাজ্যে ২.২৫ শতাংশ মানুষ করোনা ভাইরাসের থাবায় মারা গেছে।
পরীক্ষা নেওয়ার বদলে ছাত্রছাত্রীদের পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ করার দাবিতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন
মারণ রোগ মোকাবিলায় রাজ্যের সার্বিক ভূমিকা অনেক রাজ্যের চেয়েই ভালো এবং দৃষ্টান্তমুলক, দাবী খাদ্যমন্ত্রীর।
একইভাবে প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের সালতামামির অভূতপূর্ব দিক তুলে খাদ্যমন্ত্রী সংখ্যাতত্ব ও পরিসংখ্যান সামনে রেখে জানান আমফান সুপার সাইক্লোনের পরে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে রাজ্যবাসীর স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ছ’হাজার দুশো পঞ্চাশ কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন।
উত্তর চব্বিশ পরগনায় বসিরহাট, বনগাঁ ও বারাসাতের সব ব্লকই ঝড়ের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ। সুপার সাইক্লোনে মৃতের পরিবারদের আড়াই লক্ষ টাকা করে দেওয়া ছাড়াও এক লক্ষ গৃহহীন পরিবারকে কুড়িহাজার টাকা করে ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। সত্তর শতাংশ বাঁধের মেরামতির কাজ শেষ, দাবী খাদ্যমন্ত্রীর।
একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা শনিবারের মধ্যে বেহাল বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সর্বত্র পূর্বাবস্থায় ফিরবে, কোথাও অন্ধকার থাকবে না। নিজের দপ্তরের উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান খাদ্যদপ্তরের কাজের পরিধি ও সাফল্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ের সন্ধিক্ষনে।
এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে আরো দশ শতাংশ বেশী মানুষকে রেশন ব্যবস্থায় আনা হয়েছে। এ মুহূর্তে ন কোটি তিরিশ লক্ষের বেশী মানুষ রাজ্যে রেশন ব্যবস্থায় উপকৃত হচ্ছেন, দাবী খাদ্যমন্ত্রীর।
এরপরে খাদ্যমন্ত্রী ষাটলক্ষ কুপন ধার্য করার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জানান “সাদা কার্ড “নিয়ে গেলে পরিযায়ী শ্রমিকেরা খাদ্য পেয়ে যাবেন।।