১৫ জুনের মধ্যে সমস্ত নদী বাঁধকে জুড়তে নির্দেশ শুভেন্দুর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একদিকে আমফান অন্যদিকে অন্যদিকে ভড়া কোটাল দুই ধাক্কায় বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার নদী বাঁধ। সেচ দফতর সূত্রে খবর, আমফানের প্রভাবে সম্পূর্ণভাবে বাঁধ ভেঙেছে ২৮ কিলোমিটার।
৭৬ কিলোমিটার নদী বাঁধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনের নদী বাঁধের ভাঙন আটকানো সম্ভব হয়নি। ৭১টি স্থানে সেই নদী বাঁধ ভেঙেছে।
সব মিলিয়ে রাজ্যের হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য এখনই না পেলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আয়লা বাঁধ যা কংক্রিটের তা বানানো সম্ভব নয়।
তবে যে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে সুন্দরবনের মানুষদের যেতে হচ্ছে তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ১৫ জুনের মধ্যে অস্থায়ী ভাবে হলেও জুড়তে হবে নদী বাঁধ।
যে সমস্ত জায়গায় ফাটল ধরা পড়েছে তার মধ্যে আছে সন্দেশখালি, হিংগলগঞ্জ, কুলতলি, গোসাবা, বাসন্তী, মথুরাপুর, রায়দিঘী,পাথরপ্রতিমা,সাগরের কিছু অংশে। এই সব জায়গায় বাঁধ নির্মাণ করতে গেলে, হয় হাতি বাঁধ যা ৫.৮ মিটার উঁচু বা সমুদ্র বাঁধ, যা ৭.২ মিটার উঁচু করতে হবে।
পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পেলেন আমফানের ক্ষতিপূরণ, ব্রাত্য থাকলেন গ্রামবাসীরা
৪০ মিটার ভিতের এই বাঁধ আটকাতে পারবে জোয়ারের জল। এছাড়া নদীর দিকে বাঁধের সামনে ম্যানগ্রোভ আর জমির দিকে সুন্দরী গাছ বসাতে হবে। রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।
তিনি জানিয়েছেন, “বাঁধ তৈরির কাজ আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। লকডাউনের জেরে শ্রমিক পেতে অসুবিধা হয়েছে। তাই আমাদের কাজ করতে সমস্যা হয়েছে।”
ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের উত্তর ২৪ পরগণার অংশ নিয়ে সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সাথে বৈঠক করেছেন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
সেখানে স্থির হয়েছে আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বাঁধ যেখানে যেখানে ভেঙে গিয়েছিল সেখানে তা জুড়ে দেওয়া হবে।
কাজ শেষ করতে সমস্যা হবে না। তবে পাকাপাকিভাবে স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ কবে শেষ হবে সে দিকেই চেয়ে আছে সুন্দরবনবাসী।