রথে নয়, লরিতে চেপে মাসির বাড়ি পৌঁছলেন কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার কবলে এবার কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনের রথের চাকাও। চিরাচরিতভাবে যে রথে চেপে মাসির বাড়ি যাবার কথা মদনমোহনের। সেই রথ আজ শেকলে বাঁধা।
লরিতে চেপেই নিজের বাসভূমি মদনমোহন মন্দির থেকে কোচবিহার শহরের গুঞ্জবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ডাঙ্গারাই মন্দিরে মাসির বাড়ি পৌঁছলেন কোচবিহারের মদনমোহন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হল বিশ্ব, আর নাথ হলেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না।
এ বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঠিক একই ভাবে রাজ আমল থেকেই কোচবিহারে জগন্নাথের জায়গায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন প্রাণের ঠাকুর মদনমোহন।
তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনা কালে কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিথি অনুযায়ী শাস্ত্রমতে মদনমোহনের পূজা এবং এই উপলক্ষে ধর্মীয় আচারানুষ্ঠান হয়েছে শুধুমাত্র পূজারীদের মাধ্যমে। করোনা ভাইরাসের কারণে সাড়ম্বরে রথের পরিক্রমা হয়নি।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে সচেতনতার সঙ্গে করোনা প্রতিরোধের প্রতি গুরুত্বারোপ করে উদযাপিত হয়েছে রথযাত্রা উৎসব। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে রথযাত্রায় অংশ গ্রহণে সকলকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। দড়িতে টানা রথের পরিবর্তে তাই যান্ত্রিক যানেই মাসির বাড়ি পৌঁছতে হলো মদনমোহনকে।
যা কিন্তু সত্যিই নজিরবিহীন। কারণ এর আগে কোন রথযাত্রা এভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা নেই মন্দিরের পূজারীদেরও।
মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ যন্ত্রচালিত গাড়িতে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মদনমোহন এখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, কোচবিহার পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকার, কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল সহ প্রমুখ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
শুধু মদন মোহনের রথই নয়, এদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে অনাড়ম্বরভাবেই পালিত হয় রথযাত্রা।