একটানা বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তরবঙ্গ, কোচবিহারে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পথে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তুফানগঞ্জ মহকুমার বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের চর বালাভুত এলাকায় হু হু করে ঢুকছে নদীর জল। ব্রিজের একাংশে নেমেছে ধস। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোকের বাস। চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
টানা কয়েকদিন প্রবল বর্ষণে বন্যার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে কোচবিহারের নদী ঘেরা ব্লকগুলিতে। ইতিমধ্যেই জেলার প্রায় সমস্ত নদীতে জল বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে।
কালজানী, রায়ডাক সহ বেশ কয়েকটি নদীতে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধে ধস নেমে ক্ষতি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শেন আজ গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। পরিস্থিতি পরিদর্শন করে তিনি জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন।
কোচবিহারের জেলা শাসক পবন কাদিয়ান জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্তিতির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারনে সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের আধিকারিকদের সতর্ক করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে জেলার সমস্ত বিডিও, এসডিও, সেচ দপ্তর, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, সিভিল ডিফেন্সের ভলেন্টিয়ার ও ডিজাস্টার ম্যনেজমেন্টের আধিকারিকদের। প্রয়োজন মত ফ্লাড সেল্টার ও ত্রান মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কালিংপং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা প্রশাসনকে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা নিয়ে সতর্ক করেছে রাজ্য সরকার। সেই মত কোচবিহারে জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করে প্রস্তুতিও নিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহারে ২৬২.২০ থেকে ১২২৩.৬০ মাথাভাঙ্গায় ১৬৬.৮০ থেকে ১০৮৪.৮০ তুফানগঞ্জে ২৩৫.৬০ থেকে ১৯০১.২০ দিনহাটায় ৮৩.৮ হলদিবাড়িতে ১২৫.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।