টুরিস্ট লজ খুলতেই বুকিংয়ের চাহিদা তুঙ্গে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহে দীর্ঘদিন মানুষকে গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে। ঘরের চার দেওয়ালে অনেকেরই প্রাণ ওষ্ঠাগত।
অনেকেই চাইছেন এই লকডাউনের গেরো কাটলেই ট্রাভেল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বেরিয়ে পড়তে। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক না হয় ততদিন সাধারণ মানুষকে একঘেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।
এমতাবস্থায় সরকারি টুরিস্ট লজ বুকিং শুরু হতেই অবাক কান্ড দেখা গেল। অনলাইনে পর্যটন দফতরের টুরিস্ট লজে বুকিংয়ে মিলল ব্যাপক সাড়া। শীঘ্রই পর্যটকদের জন্যে দরজা খুলে যাচ্ছে রাজ্যের ১৩টি সরকারি ট্যুরিস্ট লজের।
পাহাড় থেকে সমুদ্র সব জায়গার বাছাই করা এই ১৩ ট্যুরিস্ট লজের এখন বিপুল চাহিদা। যদিও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতির কারণে পুরনো নিয়ম কারণ অনেকটাই বদলে গিয়েছে।
পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, লকডাউনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে। তাই এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে আয় বাড়াতে চাইছে টুরিস্ট লজ গুলি।
এই মুহূর্তে যে সমস্ত ট্যুরিস্ট লজ খোলা হচ্ছে তার মধ্যে থাকছে উত্তরবঙ্গের কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউস, জলপাইগুড়ির তিলাবাড়ি। দীঘা, বকখালি ট্যুরিস্ট লজ। ডায়মন্ড হারবারের ট্যুরিস্ট লজ সাগরিকা।
বোলপুরের ‘রাঙাবিতান’ ও ঝাড়গ্রাম ট্যুরিস্ট লজ এবং বিষ্ণুপুর ট্যুরিস্ট লজ। ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন বা পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট মারফত এই সব লজ বুকিং করা যাবে।
হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি
সেই কাজ শুরু হয়েছে এবং দফতর সূত্রে খবর তাতে ভাল সাড়া মিলছে। অনেকে আবার অগ্রিম বুকিং সেরে ফেলেছেন। সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে কালিম্পংয়ের মরগ্যান হাউজ এবং জলপাইগুড়ির তিলাবাড়িতে। খুব একটা পিছিয়ে নেই দীঘা ও ঝাড়গ্রাম। তবে উইকএন্ডে চাহিদা রয়েছে বিষ্ণুপুরের।
করোনা পরিস্থিতির কারণে এই সব ট্যুরিস্ট লজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মাবলি মেনে চলতে হবে। মূলত স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
প্রতি ঘরে স্যানিটাইজার প্যাক রাখা হচ্ছে। যার মধ্যে টুথপেষ্ট, টুথব্রাশ, চিরুনি, শ্যাম্পু, সাবান, তোয়ালে সহ নানা জিনিস দেওয়া হবে। লজের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীরা বিছানা, বালিশ স্যানিটাইজ করবেন।
একবার পর্যটক ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলে পুরো ঘর স্যানিটাইজ করা হবে। তাদের ব্যবহৃত যদি স্যানিটাইজার প্যাক পড়ে থাকে তাও ফেলে দেওয়া হবে দ্রুত।
এছাড়া এখন থেকে এক সাথে বসে ডাইনিং রুমে বা হোটেলের রেস্টুরেন্টে তারা খাবার খেতে পারবেন না। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পুরোপুরি ভাবে এই রুম সার্ভিস চালু হয়ে যাবে।
রাজ্য সরকারের হাতে পর্যটন দফতর মারফত মোট ৩২ খানা ট্যুরিস্ট লজ আছে। তার মধ্যে ১৯ ট্যুরিস্ট লজে এখনও চলছে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ৷
বাকি ১৩ ব্যবহারের জন্যে পুরোপুরি প্রস্তুত। তাই এগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে। ধাপে ধাপে বাকিগুলো খুলে দেওয়া হবে৷