এমজিএন আর ইজিএস প্রকল্পের প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এম জি এন আর ই জি এস প্রকল্পের বাড়ি বাড়ি খামার তৈরি প্রজেক্টের প্রায় দু কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মালদার বামনগোলা ব্লকের মহেশপুর গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রধান। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বামনগোলা ব্লকের বিডিও।
মালদার বামনগোলা ব্লকের মহেশপুর গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কলোনি এলাকা। এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি মুরগির খামার তৈরির প্রকল্প নেয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত।
যেখানে ৮-১০ হাজার টাকার মুরগীর খামার তৈরী করা হয়েছে। অথচ একটি ঘরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১লক্ষ ৪১হাজার টাকা।
টুরিস্ট লজ খুলতেই বুকিংয়ের চাহিদা তুঙ্গে
এমনই এক উপভোক্তা হোপনি সোরেন জানান জায়গাটা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আমার বাড়ির ভেতর মুরগির ঘর বানানোর জন্য 14/6 ফিটের ঘর তৈরি করা হয়। যেখানে দুদিকে দুটি পিলার কথা হয়েছে ও বাকি নেট দেওয়া হয়েছে। মাথার ওপর রয়েছে কয়েকটি টিন। তারা এখনো পারিশ্রমিক পাননি।
স্থানীয় বাসিন্দা অমূল্য মাহাতো বলেন প্রতিটা ঘরে ১ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা করে বিল করা হয়েছে। পাঁচটা টিনের দাম ধরা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। টিন লাগানোর স্ক্রুয়ের দাম ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এই করে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রধান ও তার সহযোগীরা। তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে বামন গোলা ব্লকের বিডিও ও জেলা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মহেশপুর গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতিমা মন্ডল বলেন ভিত্তিহীন অভিযোগ। যা করার নির্মাণ সহায়ক করেছে আমি কিছু জানিনা। আমি এলাকায় যাইও না।
বামন গোলা ব্লকের ভিডিও সঞ্জীত মন্ডল বলেন, নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ হয়েছে ঘটনার তদন্ত হবে।
জেলাশাসক রাজশ্রী মিত্র বলেন গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ বিডিওকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তদন্তে প্রমানিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক শুভময় বসু বলেন বিজেপি চোরের দল। গ্রামবাসীদের মুরগির ঘরের টাকা লুটপাট করে খেতে চাইছে তৃণমূল এটা হতে দেবে না। ওই প্রধানকে জেলে পাঠানো হবে। আমরা দলীয় ভাবে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন বিজেপি দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে না। আমাদের দলের কোন প্রধান যদি এ ধরনের দুর্নীতি করে থাকে তবে প্রশাসন যেমন তদন্ত করবে,আমরা দলীয়ভাবে তদন্ত করব সেখানে যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।