হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে স্বস্তি শচীন পক্ষের, সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে রাজভবনে গেহলোট পক্ষ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে স্বস্তি শচীম পক্ষের, সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে রাজভবন গেলেন গেহলোট পক্ষ।

সুপ্রিম কোর্টের মামলা ঝুলে থাকার পর, শুক্রবার রাজস্থান রাজনীতির পরিবর্তনের জন্য হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ।

কিন্তু এদিনেও শচীন এবং ১৮ জন বিধায়ককে পাঠানো স্পিকার সিপি জোশির নোটিশে স্থগিতাদেশ জারি করল রাজস্থান হাইকোর্ট।

এরপরেই সংখ্যাগরিষ্ঠা প্রমাণ করতে রাজভবনে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। এরপরেই গেহলোট সমর্থনকারী বিধায়করাও রাজভবনে উপস্থিত হন।

দুপুরে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ এর পর মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট জানান, সোমবার থেকেই বিধানসভার অধিবেশন শুরু করতে চাইছেন তারা। সেখানেই সমস্ত বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, রাতে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তা নাহলে জনতা যদি রাজভবন ঘেরাও করে সেক্ষেত্রে আমাদের কোনও দায়ভার থাকবে না।

যদিও সাংবাদমাধ্যমকে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র জানিয়েছেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী গেহলোটকে না করতে পারব না। আমি কি সিদ্ধান্ত নেবো এখনও কিছু ঠিক করিনি। তবে আমাকে আইনের পথ অনুসারে চলতে হবে।

প্রসঙ্গত, বিজেপির সঙ্গে গোপ্ন আঁতাত রেখেই রাজস্থানে সরকার ভাঙার চেষ্টা করছে টিম পাইলট। অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট।

দলের বৈঠকে উপস্থিত না থাকায় শচীন সহ ১৮ জন বিধায়কের ওপর হুইপ জারি করা হয়। তাদের বাড়িতে নোটিশ পাঠান স্পিকার সিপি জোশি।

এক যুগের অবসান, প্রয়াত প্রবীন নৃত্য শিল্পী অমলা শঙ্কর

১৭ জুলাইয়ের মধ্যে সেই নোটিশের উত্তর জানতে চান স্পিকার। কিন্তু তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে উপস্থিত হন টিম পাইলট।

বিধানসভায় অনুপস্থিত থাকলে হুইপ জারি করতে পারে দল। কিন্তু পরিষদীয় সভায় অনুপস্থিত থাকলে তাদেরকে বরখাস্ত করতে পারে না। এই যুক্তিকে সামনে রেখেই আপাতত স্বস্তি মেলে শচীন শিবিরের।

পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হন স্পিকার। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

এরপর সোমবার রাজস্থানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বলবে হাইকোর্ট। তার আগে শচীন শিবিরের ওপর কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবেন না স্পিকার সিপি জোশি।

এখন আস্থা ভোট হলে আগামী ৬ মাসের জন্য ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য ভোট হবে না। সেই কথা মাথায় রেখেই রাজ্যপালের কাছে অতিদ্রুত আস্থা ভোটের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট।

যদিও শুরু থেকে টিম পাইল্ট দাবী করে আসছে তাদের কাছে ৩০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু শচীন নিয়ে তাদের বিধায়কের সংখ্যা ১৯ জন। তবে কি গেহলোটের শিবিরে সর্ষের মধ্যে ভুত?

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবী করে আসছেন, পাইলট শিবিরে থাকা বেশ কিছু বিধায়ক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে কিছুজন গেহলোট শিবিরে ফিরতে পারেন।

সব মিলিয়ে রঙিন রাজনৈতিক মঞ্চে কার জয় হয়? সেটাই এখন দেখার।

সম্পর্কিত পোস্ট