দুর্গাপুজো নিয়ে প্রাথমিক খসরা সরকারকে দিল কমিটি
দ্য কোয়ারি ডেস্কঃ চরম অনিশচয়তায় সামনে দাঁড়িয়ে চলতি বছরের দুর্গাপুজো। করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে পুজো হবে তা পর্যালোচনা করতে বসে মাথায় হাত পড়েছে পুজো কমিটিগুলোর।
তবে এর মধ্যেই কিভাবে দুর্গাপুজো করা যায় তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে বলেছিল নবান্ন। বিধি নিষেধ মেনে কিভাবে দুর্গা পূজা করা যেতে পারে তার একটি তালিকা তৈরি করে রাজ্য প্রশাসনকে পাঠাল কলকাতায় পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গাপুজো। নবান্ন সূত্রে খবর, সেই খসরার উত্তর এখনও দেয় নি প্রশাসন।
সূত্রের খবর ফোরাম ফর দুর্গাপুজোর তরফে, পুজো কমিটির ভল্যান্টিয়ারদের জন্য পিপিইর সুপারিশ করা হয়েছে। সঙ্গে বলা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার কথাও। কমিটির তরফে খোলা মণ্ডপ, যতটা সম্ভব অনাড়ম্বর পুজোর কথা বলা হয়েছে।
ছোট মণ্ডপ ও প্রতিমা সব কিছুর কথাই বলা হয়েছে ওই খসরাতে। এর পাশাপাশি বিসর্জনের দিনও কিভাবে সাবধানতা অবলম্বন করা হবে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এখানে জানানো হয়েছে এবারে সিঁদুর খেলা প্রতীকি ভাবে আয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে এড়ানো হবে বিসর্জনের আড়ম্বরও।
এর আগেও অবশ্য একবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রশাসনকে বেশ কিছু সাবধানতার কথা জানিয়েছিল সংশ্লিষ্ট সংগঠন। পুরনো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, যে সব মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় স্টল হয়, সেখানে দুটি স্টলের মধ্যে অন্তত ৩-৪ ফুটের ব্যবধান রাখতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে অনশনের হুমকি গ্রামীন সম্পদ কর্মীদের
স্টলের মালিকদের রেডিমেড খাবার বিক্রিতে জোর দিতে। বসিয়ে লোক খাওয়ানো যাবে না। তাছাড়াও বলা হয়েছে, স্নিগ্ধ-সুন্দর পুজো দর্শকদের উপহার দিতে হবে। বাকি অর্থ জনহিতকর কাজে ব্যবহার করতে পারে পুজো কমিটিগুলি।
ঠাকুরকে শুধুমাত্র নিবেদনে করা যাবে গোটা ফল । পুষ্পাঞ্জলি, সন্ধি পুজো, সিঁদুর খেলার সময় সামাজিক দূরত্ব মানা বাধ্যতামূলক। মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দফায় দফার লোক ঢোকাতে হবে।
বহু দর্শককে মণ্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। একবারে সর্বাধিক ২৫ জনকে প্যান্ডেলে প্রবেশ করানো যাবে। কুমোরটুলি থেকে ঠাকুরের নেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে স্যানিটাইজ করার জন্য অনুরোধ করতে।
ঠাকুর আনার সময় একসঙ্গে অনেকে কুমারটুলিতে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।