পুরোহিত ভাতায় ভোটের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবারই রাজ্য সরকারের তরফে পুরহিতদের জন্য ভাতার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য। রাজ্যের আট হাজার পুরহিতকে মাসে এক হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। পুজোর মাস থেকেই পুরোহিতদের ভাতা দেওয়া হবে বলে খবর।
এদিকে পুরহিত ভাতা ঘোষণার পর রাজ্য রাজনীতিতে এই নিয়ে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। বাম-বিজেপি এই ঘোষণায় ভোটের গন্ধ পাচ্ছে। যদিও কংগ্রেসই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রসিদ প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, আজ আমার বড়ই আনন্দের দিন। কারণ আমাদের রাজ্য সরকার পুরোহিত ভাতা ঘোষণা করেছে। এই পুরোহিত ভাতার জন্য পশ্চিমবঙ্গের পুরহিত, পণ্ডিতরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ জন বিধায়কের মধ্যে এই সংখ্যালঘু বিধায়ককেই তাঁরা জানিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে পুরোহিত পণ্ডিতদের ভাতা দেওয়ার দাবি তোলার জন্য। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে আমি বিধানসভায় প্রশ্ন আকারে আমি এই দাবি তুলেছিলাম। দলের কাছেও সহযোগিতা পেয়েছিলাম। দেরি হলেও আজ তা ঘোষণা করায় আমি রাজ্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/migrant-workers-abhisheks-attack-on-the-union-ministers-statement/
কংগ্রেস সমর্থন করলেও এর বিরোধিতা করেছে সিপিএম। বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পুরোহিত ভাতা ঘোষণা করেছেন। ৮০০০ পুরহিতকে মাসে ১০০০ টাকা করে দেবেন। হঠাৎ ভোটের আগে এটা কেন মনে পড়ল? এটা সরকারের ব্যর্থতার লক্ষণ।
তিনি বলেন, ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর থেকে করোনা আবহে দুঃস্থ মানুষকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বেশি জরুরি ছিল। সে বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দুপক্ষই চুপ। তারা কেউ কিছু করছেন না।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, এখন মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে সন্তুষ্ট করার জন্য পুরোহিত ভাতা, পাদ্রি ভাতা দেবে বলছেন। তা সবই ভোটের জন্য।
নবান্ন সূত্রে খবর, ভাতার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৮ হাজার পুরোহিত আবেদন করেছেন। প্রাথমিকভাবে তাঁদের প্রত্যেককে মাসিক আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। ভবিষ্যতে আরও নাম জমা পড়লে তা বিবেচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
আগে ইমাম-মোয়াজ্জমদের ভাতা নিয়েও বেশ চর্চা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সে সময় বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল শাসক দলকে। এ বার পুরহিত ভাতা নিয়েও নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোনও পক্ষই কোনও অস্ত্র ছাড়তে চাইছে না।