বর্ধমানে শক্তি বাড়ল দলের, দাপুটে বাম নেতা আইনুল হক হক তৃণমূলে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একসময়ের দাপুটে বাম নেতা ছিলেন আইনুল হক। কার্যত একা হাতেই কন্ট্রোল করতেন বর্ধমান পুরসভা। ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের ঘনিষ্ঠও। সেই সুবাদেই বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান ও গোটা পুরপ্রশাসনকে নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
কিন্তু মহাকরণের অলিন্দ থেকে বাম বিদায় ঘটে যাওয়ার পরে পরেও বর্ধমান শহরের বুকেও ক্রমশ রাশ আলগা হতে থাকে তাঁর। ২০১৬ সালের দলের টিকিটে বর্ধমান দক্ষিন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। তারপর থেকেই দলের অন্দরেই কোনঠাসা হতে শুরু করেন। ২০১৮সালে দলই তাঁকে বহিষ্কার করে।
২০১৯ সালে যোগ দেন তিনি বিজেপিতে। কিন্তু কিছুতেই গুছিয়ে বসতে পারছিলেন না। বুধবার তিনি হাতে তুলে নিলেন ঘাসফুলের পতাকা। এখন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক।
কিন্তু হঠাৎ আইনুল তৃণমূলে কেন! বর্ধমান শহরে গেরুয়া প্রভাব যে ক্রমশ বাড়ছে তা কারও অজানা নয়। তাই সংগঠনে দরকার ছিল কোনও দাপুটে দাপুটে মুখের।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/serum-vaccine-trail-start-from-today-with-condition/
তৃণমূল চাইছে বর্ধমান সদরে গেরুয়া প্রভাব ঠেকিয়ে জোড়াফুলের দাপট ধরে রাখতে পারবে। তাই দুয়ে দুয়ে চার। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আইনুলকে তাই এই কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে দেখা গেলে যেমন চমকে যাওয়ার কিছু নেই তেমনি আগামী দিনে তাঁর হাতে বর্ধমান পুরপ্রশাসন উঠে গেলেও তাতে চমকে যাওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
এদিন আইনুলের সঙ্গেই রাজ্যের আরও ৩ বিশিষ্ট জন তৃণমূলে যোগদান করেছেন। এরা হলেন ডাক্তার কৌশিক চাকি, সুন্দর পাসোয়ান ও ডাক্তার রেজাউল করিম।
প্রথমজন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা তথা নারায়না গ্রুপ হসপিটালের চিকিৎসক ও আধিকারিক। একই সঙ্গে তিনি বর্তমানে রাজ্য সরকারের কোভিড প্রোটোকল মনিটরিং কমিটির সদস্য। সুন্দর পাসোয়ান পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসির বুদবুদ এলাকার হিন্দি হাই স্কুলের শিক্ষক ও বিজেপির ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ানের জাতীয় সাধারন সম্পাদক। আবার ডাক্তার রেজাউল করিম ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
এই চারজনেরই এদিন একসঙ্গেই যোগদান হয়েছে রাজ্যের শাসক দলে।তাঁদের সকলের হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।