একবালপুর কান্ডের রহস্য উন্মোচন! পারিবারিক বিবাদের জেরে নৃশংসতা, শোকের ছায়া এলাকায়

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রীতিমতো পরিকল্পনা করেই একবালপুরের ড. সুবীর চ্যাটার্জী রােডের বাড়িতে ঢুকে শুক্রবার নিজের বৌদি আকিদা খাতুনকে( ৪৫ ) খুন করে এবং দুই ভাইজিকেও খুন করার চেষ্টা করে মূল অভিযুক্ত সুলতান আনসারী।শনিবার পুলিশ সূত্রে এই তথ্যই জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য মৃত আকিদা খাতুন ধর্মতলা টিপু সুলতান মসজিদের নায়েব-এ-ইমাম হারুন রশিদের স্ত্রী । হারুন রশিদ সাহেব ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। এই লকডাউন আবহে তিনি টিপু সুলতান মসজিদে নামাজ পড়াতেন। শনিবার এশার নামাজের পর মৃত আকিদা খাতুনের লাশ দাফন হয়।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, তিনজনকে খুন করার পর হায়দ্রাবাদ পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃত সুলতান আনসারির। সেই মত টিকিটের ব্যবস্থাও ছিল বলেই জানা গিয়েছে। যেহেতু চিৎকার চেঁচামেচির জন্য লোক দেখে ফেলেছিল।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/deepika-who-was-interrogated-for-8-hours-denied-taking-drugs/

তাই পালিয়ে গেলে বড় সাজা হতে পারে বলে ভেবেছিল অভিযুক্ত। তাই সেই কথা ভেবে থানাতে আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। যাতে তার সাজা কিছুটা কম হয়।

উল্লেখ্য, একবালপুর থানার অধীন ড . সুবীর চ্যাটার্জী রােডে নিজের বহুতল বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুরে আকিদা খাতুন ও তার দুই মেয়ের উপর হামলা চালায় মূল অভিযুক্ত সুলতান আনসারি।

প্রথমে ধারালাে অস্ত্রের কোপ, পড়ে মৃত্যু নিশ্চিত করতে আকিদার মাথায় শিলনােড়ার আঘাত করে অভিযুক্ত। এরপরেই আকিদার ১৭ ও ২০ বছর বয়সী দুই মেয়ের উপরও হামলা চালায় অভিযুক্ত। তারাও গুরুতরভাবে জখম হয়। দুই মেয়ে এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজটি করার পর একবালপুর থানায় গিয়ে পুলিশের সামনে নিজের দোষ কবুল করে অভিযুক্ত। ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।

পারিবারিক বিবাদের জেরে যে এত বড় একটা অঘটন ঘটে যাবে, তা প্রতিবেশীরা কেউই ভাবতে পারেননি। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মূল অভিযুক্ত সুলতান আনসারীকে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সম্পর্কিত পোস্ট