পাগড়ি বিতর্কে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ, দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির আর্জি শিখ সংগঠনের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৮ অক্টোবর বিজেপির নবান্ন অভিযান রুখে শাসকদলের কাছে প্রশংসা কুড়োলেও বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রাজ্য পুলিশের।

পাগড়ি বিতর্কে এবার দিল্লি শিখ গুরুদ্বরা ম্যানেজমেন্ট কমিটি আজ রাজভবনে রাজ্যপাল জগদিপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করেন। প্রাক্তন কাশ্মীরি জওয়ানকে হেনস্তা করার প্রতিবাদে নালিশ জানায় তাঁরা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে মঞ্জিন্দের সিংহ সির্সার নেতৃত্বে রাজপাল সঙ্গে দেখা করেন ওই প্রতিনিধি দলটি। এই প্রথম কোনো রাজ্যপাল রাজভবনের বাইরে এসে নজির গড়লেন। তিনি প্রায় ১৫ মিনিট শিখ সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আশ্বাস রাজ্যপাল দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।

শিখ সংগঠনের দাবি যেভাবে একজন সর্দারের মাথার পাগড়ি খুলে তাকে হেনস্থা করা হল তাতে অপমান করা হয়েছে একটা গোটা সম্প্রদায়কে। এছাড়া বেআইনি ভাবে তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এই ঘটনায় দোষী পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন শিখদের প্রতিনিধি দল। তারা এর জন্য প্রকাশে ক্ষমার চাওয়ার দাবিও জানান।

জানা গেছে সোমবার তারা হাওড়া কমিশনারেটে এই ঘটনায় জড়িত পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিজেপির মিছিলে বলবিন্দর সিং নামে এক বিজেপি কর্মীর কাছ থেকে উদ্ধার করে হয়েছে একটি রিভলবার। পুলিশ বনাম ওই বিজেপি কর্মীর ধস্তাধস্তিতে বলবিন্দর সিং-এর পাগড়ি খুলে যায়। মুহুর্তের মধ্যে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।  যার নিন্দা করে ভারতীয় ক্রিকেটর হরভজন সিং এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/honeytrap-behind-the-spa-kolkata-police-arrested-16-people-including-a-actor/

অন্যদিকে, এই ঘটনায় রবিবারই প্রথম বিবৃতি দিল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। দফতরের তরফে টুইট করে জানানো হয়, ‘এরাজ্যে শিখ ভাইবোনেরা শান্তি, সম্প্রীতি ও খুশিতে থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস ও আচারের প্রতি সবার শ্রদ্ধা রয়েছে। সাম্প্রতিককালে মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র সহ একজনের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটি রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাতে ইচ্ছে করে সাম্প্রদায়িকতার রং লাগানোর চেষ্টা করছে। তথ্যের বিকৃতি ঘটাচ্ছে। পুলিস আইন মেনেই তার কাজ করেছে’।

রাজনৈতিক মহলের মতে, সাম্প্রদায়িক এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। তবে রাজ্যসরকারও এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহল।

সম্পর্কিত পোস্ট