বিজেপি সবচেয়ে বড় অতিমারী, এদের বিনাশ করতেই আসছেন দুর্গা: মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপিই প্যান্ডামিক। এদের বিনাশ করতেই মর্তে আসছেন দুর্গা। সোমবার দলের উৎেসব সংখ্যার প্রকাশের মঞ্চ থেকেও রাজ্যের বিরোধী বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভয়াবহ দল এই বিজেপি। করোনার মতো এতবড় প্যানডেমিক কখনও দেখেনি আমরা। বিজেপি তারচেয়ে বাড় প্যান্ডামিক। বিজেপিকে অতিমারী বলে আক্রমণ এই প্রথম নয়, আগেও একাধিকবার বিজেপিকে করোনা অতিমারীর সঙ্গে তুলনা করেছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। তবে দলের উৎবসব সংখ্যার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে এ ধরনের আক্রমণ তাৎপর্যপূর্ণ।
এ দিন মমতা বলেন, বাংলার রাজনীতি করতে গেল ভদ্রতা, সভ্যতা, সংস্কৃতি মেনে চলতে হয়। এটা বিজেপি বুঝবে না। বোঝার ক্ষমতাও নেই। ওরা সব ক্ষমতা দখল করতে চায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যেন তেন প্রকারেণ এই ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। মানুষ মরে গেলেও ওঁদের যেন কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। কারণ, ওঁরা ক্ষমতা চায়। তাই এরকম মানুষদের বিনাশের জন্যই অসুরদলনী মা মর্ত্যে আসেন। এটা মনে রাখবেন। এদিন এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপিকে অসুরের সঙ্গে তুলনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীবাড়ি ছাড়া দিল্লির কোনও সর্বজনীন দুর্গাপুজোয় অনুমতি দেয়নি অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। এনিয়ে অনেকেই বলছিলেন, কেজরিওয়াল যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক বন্ধু হোক, প্রশাসক হিসেবে দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে।
এদিন নজরুলমঞ্চে নিজেই দিল্লি ও অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে দিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে তো একটা মাত্র পুজোর অনুমতি দিয়েছে। উত্তরপ্রদেশ-সহ অন্য রাজ্যে তো অন্য রাজ্যে তো পার্মিশনই দিচ্ছে না। আমি কিন্তু দিলাম।’
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/covid-warning-the-number-of-hospital-beds-is-increasing-the-cost-of-tests-is-decreasing/
তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পইপই করে বলেন, সতর্কতা মেনেই উৎসব পালন করতে হবে। দূরত্ব বিধি মানা ও সারাক্ষণ মাস্ক পরার কথা বলেন মমতা। পাশাপাশি এ-ও বলেন, গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। করোনা আবহে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব কী ভাবে হবে তা নিয়ে সংশয় ছিলই। তবে রাজ্য সরকার বিশেষ কোনও কড়াকড়ি অথবা বিধি আরোপের পথে হাঁটেনি। বরং, জনসচেতনতার উপরেই বিষয়টি ছেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন নজরুল মঞ্চে ‘জাগো বাংলা’র প্রচ্ছদে মুখ্যমন্ত্রী নিজের আঁকা ছবি প্রসঙ্গে বলেছেন, এবার যে ছবি আমি এঁকেছি, তার থিম মা দুর্গা গণেশকে করোনা থেকে বাঁচাতে কোলে রেখেছে। এটাই এটার থিম। গত ৮ মাস ধরে এই সমস্যা চলছে। এ এক দুর্বিষহ অবস্থা। বড় বড় যুদ্ধ এতদিন ধরে চলে না। কতদিন ধরে সব কিছু বন্ধ রয়েছে। আরও কতদিন থাকবে তা কেউ জানে না। কত মানুষের রোজগার বন্ধ। খুব খারাপ অবস্থা। বাড়িতে থাকতে থাকে মানুষ মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছে।
একইসঙ্গে, তিনি জানান, পুজোয় এবার অনেকগুলি কবিতা ও লেখা রয়েছে এই বইতে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০২-এর বেশি বই হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, গানেরও একটি ক্যাসেট উদ্বোধন করেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আমি সা-রে-মা-পা-পা-ধা-নি-সা টুকুই জানি। ছোট্টবেলায় দেখেছি বাবা রেকর্ড কিনে আনতেন। শুনতে শুনতেই কানে সুর বাজে। ইন্দ্রনীল ও অরূপ জোর করেছে তাই করেছি। ওঁদের জন্যই এটা করা সম্ভব হয়েছে।