পঞ্চায়েত ও পুরসভার রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে গঠন করা হল পঞ্চম অর্থ কমিশন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পঞ্চায়েত ও পুরসভা গুলির কর ও রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার পঞ্চম অর্থ কমিশন গঠন করেছে। অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিশন আগামী ৬ মাসের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। নবান্নের অর্থ দপ্তর থেকে মঙ্গলবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে অর্থ কমিশনের সদস্যরা পঞ্চায়েত গুলির আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখবে এবং রাজ্য সরকার এবং পঞ্চায়েতের মধ্যে কর এবং রাজস্ব বণ্টন সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের পরামর্শ দেবে। একইভাবে পুরসভা গুলির আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখে রাজস্ব বন্টন এবং কর কাঠামো সংস্কার নিয়ে কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করবে।

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প এবং অর্থ কমিশনের বরাদ্দ খরচের বিষয়ে রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের এক্তিয়ারও নবগঠিত অর্থ কমিশন খতিয়ে দেখবে বলে জানানো হয়েছে।

পঞ্চায়েত ও পুরসভার রাজস্ব ব্যবস্থা

  • কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন প্রতি আর্থিক বছরে গ্রামীণ পরিকাঠামো খাতে অর্থ বরাদ্দ করে থাকে।
  • প্রতি বছর একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এই খাতে কমবেশি এক কোটি টাকা পায়।
  • প্রশাসনিক ব্যাখ্যায়, প্রাপ্ত টাকার ৬০% খরচ হয় পানীয় জল, নিকাশি, সেচ, শৌচাগারের মতো পরিকাঠামো খাতে।
  • বাকি ৪০% ব্যয় করার কথা রাস্তাঘাট তৈরি-মেরামত, কালভার্ট, ছোট সেতু ইত্যাদি তৈরিতে।

মন্ত্রিসভার রদবদলে গুরুত্ব বাড়তে পারে অভিষেকের আস্থাভাজনদের, সংগঠনেও পরিবর্তনের বড় ইঙ্গিত

  • ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে অর্থ কমিশনের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য জানুয়ারিতেই কাজের পরিকল্পনা কেন্দ্রের নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করতে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে।
  • প্রস্তাবিত কাজের অতিরিক্ত পরিকল্পনার দায়িত্ব জেলাশাসকদের।
  • জেলা সূত্রের খবর, সেই পরিকল্পনারই আওতায় আগামী পাড়ায় সমাধানের কাজগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসনের শীর্ষমহল।
  • গ্রাম পঞ্চায়েত যে পরিকল্পনা করে, তার সঙ্গে বাস্তবে মানুষের চাহিদার ততটা মিল থাকে না।
  • আবার অর্থ কমিশনের বরাদ্দ ব্যবহার নিয়ে নানা সময় অনেক প্রশ্নও ওঠে।
  • এবার পঞ্চম অর্থ কমিশন গড়ে এই সমস্যার স্থায়ী নীরসন করতে চায় রাজ্য।

সম্পর্কিত পোস্ট