মৃত কোভিড যোদ্ধাদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি ও ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবেঃ মুখ্যমন্ত্রী

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়তে গিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২ জন সরকারি কর্মী মারা গিয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও সরকারি কর্মী রয়েছেন। মৃত কোভিড যোদ্ধাদের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি ও ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। বুধবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘যে সব সরকারি কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন, তাদের লড়াইকে সম্মান জানাতে মানপত্র ও পদকও দেওয়া হবে।’ এদিনই অবশ্য রাজ্যের ১৪ জেলায় করোনাকে হারিয়ে জয়ী হওয়া পুলিশ, চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মী, সরকারি কর্মীদের হাতেও আনুষ্ঠানিকভাবে মানপত্র তুলে দেওয়া হয়।
বিধায়ক মৃত্যু নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে ভুল তথ্য দিচ্ছে বিজেপি, মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে ডেরেক
এদিন নবান্নে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার আশা কর্মী সহ অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁদের লড়াইকে কুর্ণিশ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারাই পথ দেখাবেন। আপনারা যে লড়াই করেছেন, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’ পাশাপাশি জেলায় করোনাকে হারিয়ে জয়ী হওয়া রুগীদেরও কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব জেলাতেই কোভিড জয়ীদের কাজে লাগানো হবে। এমনকি তাদের কাজের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার দিকেও নজর রাখা হবে। কেননা, বিপদের দিনে বন্ধু হিসেবে যারা পাশে দাঁড়ায়, তাদের পাশে থাকতে হয়।’
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
পাশাপাশি নাম না করে বিজেপি নেতাদেরও বিঁধেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘মানুষ এমনিতেই করোনা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। তার পরেও একটা ঘটনা নিয়ে অতিরঞ্জিত প্রচার চালাচ্ছে কোনও-কোনও সংবাদমাধ্যম। একটা ঘটনাকে বড় করে দেখিয়ে, বার বার দেখিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে, হাসপাতালে বেড নেই, অক্সিজেন নেই। অযথা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যারা এটা করছেন, তাদের বলব, এটা নোংরা রাজনীতি করার সময় নয়।’