অনুপস্থিত তৃণমূল বিধায়ক, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলায় ভোট পড়ল ২৯১ টি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বাংলায় ভোট দিলেন না বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল। এছাড়াও রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে ভোট দান থেকে বিরত থাকেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। মানিকতলার বিধায়ক তথা বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে এমনিতেই রাজ্য বিধানসভার একটি আসন ফাঁকা আছে। ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাজ্যের সর্বোচ্চ ২৯৪ টি ভোটের মধ্যে ২৯১ জন বিধায়ক ভোট দিলেন।
শাসক ও বিরোধী শিবিরের সকল বিধায়কের ভোটদান যাতে ঠিকভাবে পড়ে তা প্রতি মুহূর্তে দুপক্ষের নেতারা কড়া নজর রাখছিলেন। কিন্তু বিকেলের দিকে জানা যায় ভোট দিতে আসবেন না বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক। কারণ তিনি দেশেই নেই। ধর্মীয় রীতি পালনের উদ্দেশ্যে হজে গিয়েছেন রফিকুল ইসলাম মণ্ডল। এই কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেন বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ।
সহজ ভোটে ছোট ছোট উত্তেজনার ছোঁয়ায় মিটল পরবর্তী রাষ্ট্রপতি বাছাইয়ের কাজ
এদিকে দ্রৌপদী মুর্মু বিজেপি প্রার্থী হওয়ায় এবং যশবন্ত সিনহা দীর্ঘদিন বিজেপি করায় আদর্শগত অবস্থান থেকেই ভোটদানে বিরত থাকেন প্রথমবারের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি।
তবে পাহাড়ের তিন বিধায়ক এ দিন ভোট দিয়েছেন। এছাড়াও রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে ৩১ জন তৃণমূল সাংসদ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোট দেন। যদিও আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, মথুরাপুরের তৃণমূল সাংসদ চৌধুরী মোহন জাঠুয়া ও কাঁথি এবং তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী ও পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারী দিল্লিতে সংসদ ভবনে ভোট দেন। যদিও অধিকারী পরিবারের দুই সদস্যের ভোট যশবন্ত সিনহা পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।