মন্ত্রিসভায় রদবদলে নাম কাটা পড়তে পারে অধিকারীদের আত্মীয় অখিল গিরির

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলের একেবারে জন্মলগ্ন থেকে দলে আছেন অখিল গিরি। যে সময় অধিকারী পরিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় একত্র দাপট দেখাচ্ছে তখনও রামনগর বিধানসভা কেন্দ্র ধরে রেখেছিলেন অখিল। অধিকারীদের আত্মীয় হলেও দীর্ঘদিন তাদের সঙ্গে সদ্ভাব নেই।

ফলে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অধিকারী পরিবার বিজেপিতে চলে যাওয়ায় জেলায় অখিলের দায়িত্ব বাড়ে। প্রথমদিকে পরিস্থিতি সামলাতে তাঁকে গোটা জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। পরে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রীও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বারবার সুযোগ পেয়েও কৃতিত্বের পরিচয় দিতে না পারায় এবার হয়তো অখিলের কপাল পুড়তে চলেছে।

তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে মৎস্য দফতরের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ একদিকে যেমন দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাছ চাষ হয় এখানে, তেমনই লক্ষ লক্ষ লোকের জীবিকার এর ওপরে নির্ভরশীল। তাছাড়া বাঙালি মৎস্য প্রিয় জাতি হিসেবে এমনিতেই পরিচিত। তাই এই দফতরের মন্ত্রী হিসেবে অনেক কিছু করার আছে।

Mitali Express : অপেক্ষার ৫ দিন, অনলাইনে নয় অফলাইনে মিলবে মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট

যেমন নিত্য নতুন প্রযুক্তি এনে উৎপাদন আর‌ও বাড়ানো, রাজ্যের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশের বাজারের দিকে নজর দেওয়া যাতে মৎস্যচাষিদের মুনাফা বাড়ে। সেইসঙ্গে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে মৎস্য চাষকে আরও বিজ্ঞানসম্মত করে তোলা। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বারবার সরব হলেও দফতরের মন্ত্রী হিসেবে অখিল গিরি ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে করে দল ও সরকারের একাংশ।

সমুদ্র উপকূলবর্তী রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের এই বিধায়ক মাছ চাষের বিষয়টি ভালো বুঝবেন এমনটাই মনে করেছিল সবাই। কিন্তু নিজের জেলার বাইরে কার্যত বের হননি অখিল গিরি। মজার বিষয় হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও দক্ষিণ বঙ্গের বাকি অংশ তো বটেই, উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও মাছ চাষ হয়।

ফলে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূল স্তরে অভাবনীয় কাজ করে তিনি একদিকে যেমন সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারতেন, তেমনই রাজ্যের মানুষের হাল অনেকটাই বদলে ফেলতে পারতেন। কিন্তু তার কোনোটাই না হওয়ায় অখিলের উপর অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই সূত্রের খবর। সম্ভবত মন্ত্রিসভার রদবদলে নাম কাটা পড়তে চলেছে অধিকারীদের আত্মীয় অখিল গিরির।

শুধু মন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থতা নয় সাংগঠনিক কাজেও অখিল গিরির চালচলন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুর নির্বাচনে অতিগুরুত্বপূর্ণ কাঁথি পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রার্থী বাছাই নিয়ে নিচুতলার ক্ষোভের কথা সকলেই জানে। এছাড়াও জেলার নিচুতলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ‌ কম নয়। এই বিষয়টিও তাঁর বিপক্ষে গিয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

সম্পর্কিত পোস্ট