আপনার ইএমআই কি দিতে হবে ? নাকি আরবিআইয়ের নির্দেশিকায় ৩ মাস ছাড় পাচ্ছেন, জেনে নিন

৩ মাসের জন্য ইকুয়াল মান্থলি ইনস্টলমেন্ট বা ইএমআই পিছিয়ে দেওয়া জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস । 

দ্য কোয়ারি ওয়েব ডেস্ক- Covid19- এর মোকাবিলায় আমজনতা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বস্তি দিতে এগিয়ে এসেছে রিজার্ব ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ।

৩ মাসের জন্য ইকুয়াল মান্থলি ইনস্টলমেন্ট বা ইএমআই পিছিয়ে দেওয়া জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস । 

এতে ক্রেডিট স্কোরের উপরেও কোনও প্রভাব পড়বে না।

তবে ৩মাস ইএম আই মকুব নিয়ে ধন্দের সৃষ্টির হয়েছে দেসের মধ্যবিত্ত শ্রেনির জনতার মধ্যে । ইএমআই মকুব নয়, পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 

অর্থাৎ ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দিলে তিন মাসের জন্য ইএমআই দিতে হবে না গ্রাহকদের ।

তবে, পরবর্তী সময়ে কী ভাবে সেই ইএমআই নেওয়া হবে, তা ব্যাঙ্কগুলি ঠিক করবে । এ বার ব্যাঙ্কগুলিও সেই পথেই হাঁটবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।

আরবিআইয়ের ঘোষণার পরেও সাধারণ ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন থেকে গিয়েছে ।

[ আরও পড়ুন : #coronavirusindia : একগুচ্ছ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ কেন্দ্রের ]

সব ঋণের ইএমআই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, ভবিষ্যতে এক সঙ্গে তিন মাসের ইএমআই দিতে হবে কি না— এমন প্রচুর প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাঁরা।

The Quiry-র পক্ষ থেকে আম আদমির জন্য রইল তেমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর।

ইএমআই (EMI) মকুব, নাকি স্থগিত?

আপনার ঋণের ইকুয়াল মান্থলি ইনস্টলমেন্ট একেবারেই মকুব নয়। বরং স্থগিত বলা যেতে পারে ।

অর্থাৎ তিন মাসের জন্য ইএমআই দিতে হবে না । তবে এই স্থগিত ইএমআই দিতেই হবে। 

মাসিক প্রদেয় অর্থ কী ভাবে দিতে হবে, তা ব্যাঙ্কগুলি ধার্য করবে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে আলাদাও হতে পারে । 

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কেউ পুরো ঋণের মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে পারে । 

অর্থাৎ ঋণের মেয়াদ পাঁচ বছর হলে এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছর তিন মাস হতে পারে। 

আবার এখনকার ইএমআই-এর সঙ্গে তিন মাসের ইএমআই বকেয়া ইএমআইগুলির সঙ্গে সমান ভাগে যোগ হতে পারে ।

কী ধরনের ঋণের ইএমআই স্থগিত করা হয়েছে?

আরবিআই-এর ঘোষণা অনুযায়ী সব ধরনের মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে । 

অর্থাৎ যে সব ঋণ নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে মাসিক কিস্তিতে শোধ করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সেই সব ঋণের ইএমআই এর আওতায় আসবে ।

এর মধ্যে পড়ছে বাড়ি, গাড়ি, শিক্ষার জন্য নেওয়া ঋণ। এমনকি পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রেও এটা প্রযোজ্য । 

তা ছাড়া ফ্রিজ, টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণের ক্ষেতেও এই নিয়ম কার্যকর হবে।

শুধুই কি ইএমআই-এর সুদ স্থগিত হবে, নাকি পুরো ইএমআই?

সুদ এবং আসল অর্থাৎ পুরো ইএমআই তিন মাসের জন্য দিতে হবে না । 

এ বছরের পয়লা মার্চ থেকে যে সব ঋণের ইএমআই বাকি, সেগুলির ক্ষেত্রেই এই মকুবের ঘোষণা হয়েছে । ব্যাঙ্ক ঘোষণা করলে তবেই ছাড় পাওয়া যাবে।

কোন কোন ব্যাঙ্ক এই সুযোগ দিতে পারে?

সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কই ইএমআই ছাড়ের সুযোগ দেবে ।

এর আওতায় পড়ছে আঞ্চলিক, গ্রামীণ, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলি । 

তা ছাড়া যে কোনও ঋণদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও গৃহঋণ প্রদানকারী সংস্থাও এই সুবিধা দেবে ।

মাসের শুরুতেই ইএমআই দেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। অ্যাকাউন্ট থেকে কি তাহলে টাকা কাটা হবে?

আরবিআই শুধুমাত্র ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে । প্রত্যেক ব্যাঙ্ক আলাদা ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। 

[ আরও পড়ুন : ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ]

যার অর্থ, আপনার ইএমআই-এর কাটার তারিখের আগে আপনার ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত না নিলে বা আপনাকে না জানালে এ মাসের ইএমআই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই কেটে যাবে ।

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ নিলে তার কী হবে?

সে ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে । অর্থাৎ তিন মাসের জন্য ইএমআই দিতে হবে না। 

মেয়াদি ঋণ হিসেবে নিলেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে, সেটা যে কোনও কারণেই নেওয়া হোক । 

আপনার ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নিলেই আপনি তার যোগ্য । তবে এককালীন ঋণ পরিশোধের শর্ত থাকলে তাতে ছাড় মিলবে না।

ব্যাঙ্ক কী ভাবে কাজ করবে?

ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ডে এ নিয়ে আলোচনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। 

সেটা হয়ে গেলে কাস্টমারদের ফোন করে জানানো হতে পারে।

ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া বা ইএমআই-এর ক্ষেত্রেও কি একই নিয়ম?

ক্রেডিট কার্ডের ঋণ যেহেতু মেয়াদি ঋণ বিভাগে পড়ে না, তাই সে ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না।

সম্পর্কিত পোস্ট