শাকসবজির প্রসারে উদ্যোগী রাজ্য, রাজারহাটে তৈরি হচ্ছে অর্গানিক ফার্টিলাইজার হাব
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের একটা বড় অংশের মানুষ অর্গানিক শাকসবজির দিকে ঝুঁকছেন। বাজারের চাহিদা বাড়ায় ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কৃত্রিম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত এই সমস্ত শাকসবজির চাষ।
এই চাহিদা পূরণ করতে এবার বড়োসড়ো উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। রাজারহাটে গড়ে উঠছে রাজ্যের প্রথম অর্গানিক সার ও শাক সবজির হাব। যেখানে উন্নত মানের জৈব সারের পাশাপাশি সুলভ দামে অর্গানিক শাকসবজি বিক্রি করারও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সেখানে কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং জৈব চাষে উৎসাহ দেওয়া হবে।
ওই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যেই জমি নির্দিষ্ট করেছে রাজ্যের কৃষি বিপনন দপ্তর। সেখানে আট তলার ওই অত্যাধুনিক হাব গড়ে উঠবে। প্রকল্পের খরচ ধার্য করা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।২০২২ সালের মধ্যে ওই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে কৃষি বিপনন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
অর্গানিক ফার্টিলাইজার হাবে থাকবে একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি। যেখানে অর্গানিক শাকসবজির মান নির্ণয় করার বন্দোবস্ত থাকবে। ওই ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করে দেখার পর সংশাপত্র দেবে দপ্তর। শুধুমাত্র সেই ছাড়পত্র পাওয়া শাক সবজি বিক্রি করা হবে ওই হাব থেকে।
দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে আজ দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল
কৃষি বিপনন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এখন কয়েকটি নামি অনলাইন বিপনন সংস্থা অর্গানিক শাক সবজি বিক্রি করে। তবে তার দাম বেশ চড়া।
বেশিরভাগের দাম সাধারণ মানুষের আয়ত্বের বাইরে। রাজ্য সরকার চায় সকলের কাছে স্বাস্থ্যকর জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন শাকসবজি পৌঁছে দিতে। সে কারণেই এই উদ্যোগ। এই হাব ছাড়াও সুফল বাংলা স্টল এর মাধ্যমে অর্গানিক শাক সবজি বিক্রি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
রাজারহাটের অর্গানিক ফার্টিলাইজার হাবে প্রশিক্ষণের জন্য আধুনিক কনফারেন্স রুম এবং দূর থেকে আসা অতিথিদের থাকার বন্দোবস্ত করতে গেস্ট হাউসও তৈরি করা হচ্ছে।