West Bengal Assembly Election ক্ষোভের আগুন পুর্ব মেদিনীপুরেও, ক্ষোভ উগরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট সুপ্রকাশের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার কালীঘাটের কার্যালয় থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে জেলায় জেলায় ক্ষোভে ফুঁসছেন তৃণমূলের নেতারা। কেউ ক্ষোভে দল ছাড়ছেন আবার কেউ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। আবার কেউ অপ্রকাশিত ক্ষোভ নিয়েই ফুঁসছেন দলের অন্দরে।
শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার প যারা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম সুপ্রকাশ গিরি। রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি। শুভেন্দু অধিকারী বেসুরো হওয়ার সময় থেকেই দলের সংগঠন ধরে রেখেছিলেন সুপ্রকাশ।
এমনকি দলের কঠিন সময়ে সুপ্রকাশের ভূমিকায় সুনাম করেছিলেন স্বয়ং দলনেত্রী। কিন্তু শুক্রবার পুর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের যুব সভাপতি সুপ্রকাশ নিজেদের ফেসবুকে লেখেন, “মজা করে বন্ধুরা বলতো পয়সা না থাকলে রাজনীতি করতে যাস না, আজ পারফরম্যান্স কে হার মানতে হলো পয়সার কাছে. আজ বুঝলাম পারফরম্যান্সের কোনো দাম নেই এই যুগে”।
আরও পড়ুনঃ West Bengal Assembly Election বিজেপিতে যোগ দিলেন দীনেশ ত্রিবেদী
যদিও ফেসবুকের পোস্ট পরে তুলে নেন সুপ্রকাশ। সুপ্রকাশ ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর পদ ছাড়তে চান তিনি। একইসঙ্গে সেই পদ ছাড়তে চলেছে জেলার একাধিক নেতৃত্বও।
উল্লেখ্য, পুর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী পক্ষ হিসাবে পরিচিত অখিল গিরি। শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর সুপ্রকাশ গিরি এবং অখিল গিরিকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। দল ছত্রভঙ্গ হওয়ার আগেই হাল ধরেন দুই জন।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, একুশের নির্বাচনে পুর্ব মেদিনীপুরের যেকোনো কেন্দ্রে প্রার্থী হতে পারেন সুপ্রকাশ। কিন্তু দলনেত্রীর তালিকা প্রকাশের পরেই মনোবল হারিয়ে ফেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বসেন সুপ্রকাশ।
একইসঙ্গে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন চণ্ডিতলার বিধায়ক অমীয়কান্তি ভট্টাচার্য। ওই কেন্দ্রে এবারে তারকা প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী। যদিও গোটা বিষয়টিকে মেনে নিয়েছেন বিদায়ী বিধায়ক। যদিও দল পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় দলের সঙ্গে রয়েছি তাই দল পরিবর্তনের কোনও প্রশ্নও ওঠে না।