“মুখ্যমন্ত্রী নয়, স্বেচ্ছাসেবী” সিঙ্ঘু বর্ডারে কৃষকদের পাশে অরবিন্দ কেজরিওয়াল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত সেপ্টেম্বরে পাশ হওয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লি সীমান্তে ১২ দিনে পড়ল কৃষক আন্দোলন। সোমবার সিঙ্ঘু বর্ডারে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করলেন দিল্লি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মনীশ সিসোদিয়া সহ একাধিক দলের বিধায়করা। সেখানে তিনি বলেন, শুরু থেকেই এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন তিনি। যে সমস্ত বিষয়গুলিকে সামনে রেখে কৃষকরা আন্দোলন করছেন সেগুলি ভীষণ গুরুত্বপুর্ণ। তিনি আরও বলেন, দিল্লি সীমান্তে শুরু হওয়া আন্দোলনের শুরুতেই দিল্লি পুলিশ স্টেডিয়ামগুলি জেলখানায় পরিণত করার জন্য অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু আমি অনুমতি দিইনি। আমাকে ফোন করে চাপ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু রাজি হইনি। দাবী দিল্লি মুখ্যমন্ত্রীর।

 

এই প্রথমবার দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনে উপস্থিত হলেন কোনও মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভারত বন্‌ধকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। আমি এখানে একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, একজন সেবক হিসাবে এসেছি। সিঙ্ঘু বর্ডার থেকে বার্তা কেজরিওয়ালের। আপ সমর্থকরা সারা দেশজুড়ে বন্‌ধকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই মুহুর্তে দিল্লির বাইরে সিঙ্ঘু, অওচাঁদী, পিয়াও মনিয়ারি এবং মঙ্গেশ সীমানা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ সহ দেশের একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা শামিল হয়েছেন এদিনের আন্দোলনে। ৫ দফার বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র না মেলায় আগামী ৯ ডিসেম্বর আরও এক দফায় কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে কেন্দ্র। যদিও শুরু থেকে এখনও অবধি তিন আইনের প্রত্যাহারের দাবীতে অনড় রয়েছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাম, কংগ্রেস, আরজেডি, ডিএমকে, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি, শিবসেনা এবং বিএসপি। বন্‌ধ সমর্থন না করলেও বন্‌ধের ইস্যুগুলিকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাজ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবেন বলে জানিয়েছন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট