গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা নিয়ে ট্যুইটারে মোদি সরকারকে বিঁধলেন অভিষেক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা থেকে বাদ গিয়েছে বাংলার নাম। সেই প্রসঙ্গ তুলে নরেন্দ্র মোদিকে সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার তিনি ট্যুইট বার্তায় তিনি এই নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে নিশানা করেছেন।সেখানে তিনি বাংলার বিরুদ্ধে বঞ্চনারও অভিযোগ তুলেছেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন এ রাজ্যের লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক। কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কাজের বন্দোবস্ত করতে নয়া প্রকল্প নিয়ে এসেছে কেন্দ্র।
এই প্রকল্পের জন্য মোট ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার। এর আওতায় দেশের ছ’টি রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানের কথা বলেও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বাংলাকে।এদিন তা নিয়েই সোশ্যাল সাইটে সরব হয়েছেন অভিষেক।
ট্যুইটে তিনি লেখেন,’বাংলায় ফিরে আসা ১১ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকের উদ্বেগকে এভাবে উপেক্ষা কেন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিজি? গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা থেকে পশ্চিমবঙ্গকে কেন বাদ দেওয়া হল? বাংলার মানুষদের প্রতি এত উদাসীন কেন কেন্দ্র?’ প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লক্ষ্য করে ট্যুইটে এভাবেই আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই তৃণমূল যুবনেতার ট্যুইট শেয়ার করেন রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ন। তাঁর প্রশ্ন, ‘সংসদের অধিবেশনও নেই। তবে এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবেন?’
গোটা বিষয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন অপর বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র কীভাবে জেলা বেছে নিচ্ছে, এটা আমি বুঝতে পারলাম না। ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক যদি শর্ত হয়, তবে বাংলার অনেক জেলার নাম আমি বলতে পারি। রাজ্যের সঙ্গে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ কেন্দ্রকে মানায় না।’
গালওয়ান উপত্যকায় চিনা কম্যান্ডিং অফিসারের মৃত্যুর খবর মেনে নিল পিপলস লিবারেশন আর্মি
জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় ওই প্রকল্পের জন্য ৬ রাজ্যকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। এরমধ্যে বিজেপি শাসিত বা বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকা রাজ্যের সংখ্যাই বেশি। মূলত উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ওডিশা এবং ঝাড়খণ্ড-এর মোট ১১৬ জেলাকে বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখযোগ্য, ছ’টি রাজ্যের মধ্যে ৩টি এনডিএ শাসিত। ওই রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে যেখানে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি, সেখানে ১২৫ দিনের মধ্যে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজের বন্দোবস্ত করা হবে।
রাজ্য বিজেপি অবশ্য গোটা বিষয়ে নবান্নেরই দোষ দেখাছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীফ ঘোষের কথায়, ‘গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় বাংলার নাম দেখতে না পেয়ে যাঁরা অবাক হচ্ছেন, তাঁদের কেন্দ্রকে দোষারোপ করার আগে নিজেদের মূল্যায়ণ করা উচিত। রাজ্য তো পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলাভিত্তিক তথ্যই তৈরি করতে পারেনি এখনও।’
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া কর্মসংস্থান প্রকল্পে বাংলার গরিব পরিযায়ী শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও।চিঠিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হয়ে তদ্বির করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
এ দিন সকালে একই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। সেখানে তিনি প্রস্তাব দিয়ে বলেছেন, প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই কর্মসূচির আওতায় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।