‘অ্যায় ওয়াতন অ্যায় ওয়াতন জানে জা জানে মান…’ আরও একবার রাজীবের কন্ঠে মুগ্ধ বাংলা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মাইক্রোফোন হাতে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে তাঁকে প্রায়ই দেখা যায়। একদিকে দক্ষ হাতে সামলাচ্ছেন দফতর। অন্যদিকে দলের অন্দরে দুর্নীতি রুখতে কড়া বার্তা দিতেও দেখা গেছে তাঁকে।
এখানেই শেষ নয়। দেশের সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কখনও গান, কখনও বা আবৃত্তিও রাজ্যের মানুষ শুনেছেন তাঁর গলায়। রাজনৈতিক ভেদাভেদ দূরে সরিয়ে যা প্রশংসিত হয়েছে সর্বত্র।
যার সম্পর্কে এই বর্ণনা তিনি রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গান গেয়ে ভারতীয় সেনাদের প্রতি তাঁর অন্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন। গানের শুরুতেই তাঁর কন্ঠে শোনা গেছে-
‘করম মে বিশ্বাস রাখতে হ্যায়, দিখাওয়া নেহি করতে/ হাম তো উন লোগো মে সে হ্যায়, জো দেশকো সিনেমে লিয়ে চলতে হ্যায়।’
যা শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে আপনারও। গোটা গানটি ৫মিনিট ৯ সেকেন্ডের। গানের শুরুতেই ভেসে উঠছে জাতীয় পতাকার ছবি। তারপরে সমগ্র স্ক্রিন জুড়ে ভারতের বীর সন্তানদের একের পর এক মুহুর্ত। পুরো অ্যালবাম জুড়ে রয়েছে ভারতীয় সেনাদের বীরত্বের বিভিন্ন টুকরো মুহূর্ত।
স্বাধীনতা দিবসের আগে ফের হিন্দিতেই গানটি গাইলেন ২০১৬-র ভোটে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জেতা বিধায়ক। কারণ হিসাবে তাঁর প্রথম গান প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি জানিয়েছিলেন “যাদের জন্য গানটি গাওয়া হচ্ছে তারা যাতে বুঝতে পারেন, সে জন্যই হিন্দিকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।”
গত জুন মাসে পূর্ব লাদাখে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছিল ভারতের ২০ জন জওয়ানের। তারপরে শহিদ জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে গান গেয়েছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন যে গানটি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় গেয়েছেন, সেটি লিখেছেন সুজয় গোস্বামী। সুরও তাঁরই করা। গানের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই প্রত্যেকবারের মতই প্রশংসিত হতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। একইসঙ্গে মুহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হতেও শুরু করে।
উল্লেখ্য প্রথমবার তাঁর গানের ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর প্রশংসার পাশাপাশি বিতর্কও ঘিরে ধরেছিল যদিও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন মহলে।
তবে গান গাওয়ার ক্ষেত্রে কোন দিন কোন বিতর্কে পাত্তা দেননি মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট মন্ত্রী।
তাঁর কথায়, ‘মনের ভালোবাসা থেকেই গান গান’। তাই সে বিষয়ে কে কী বলল তা নিয়ে কোনো দিনই মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এনআরসি বিরোধী সভাতেও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্বরচিত গান গাওয়ার জন্য জনসমক্ষে রাজীব বাবুর হাতেই মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিলেন তা কারোর অজানা নয়।
নিজের নামের অর্থের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই রাজনীতির ময়দানের পাশাপাশি গান অথবা আবৃত্তি সবখানেই বিরাজমান মন্ত্রী রাজীব।
আগামী দিনে রাজ্যবাসী তাঁর তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক বক্তৃতা শোনার পাশাপাশি গান শুনতেও যে কতটা উৎসুক তার নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।