করোনা আবহে জাঁকজমকহীন বারাসাতের কালীপুজো, পুজো কমিটিগুলিকে সাধুবাদ এলাকাবাসীর

শুক্রবার  কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন খুঁটি পূজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল তারই প্রস্তুতি। এদিন সকালে বারাসাতের ঐতিহ্যবাহী তরুছায়া ক্লাবের খুঁটি পূজো আয়োজিত হয় সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর ভাবে।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা আবহে এবছর বারাসতের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজো হচ্ছে জাঁকজমকহীন ভাবে। শুক্রবার  কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন খুঁটি পূজোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল তারই প্রস্তুতি। এদিন সকালে বারাসাতের ঐতিহ্যবাহী তরুছায়া ক্লাবের খুঁটি পূজো আয়োজিত হয় সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর ভাবে।

করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গুটি কয়েক লোক নিয়েই নমো নমো করে খুঁটি পুজো সারেন উদ্যোক্তারা। হাজির ছিলেন পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়। পুজো কাটছাঁট করে বাজেটের বেশিরভাগ টাকাই মানবসেবায় খরচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বড় পুজো কমিটি গুলির উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন তিনি।

বারাসতের কালীপূজো মানেই থিমের ছড়াছড়ি। থাকে রঙবেরঙের আলোর বাহারি। আলোকসজ্জা ও মণ্ডপসজ্জার নৈপুণ্যতা ও সৃজনশীল শিল্পকলা মন ভরিয়ে তোলে দর্শনার্থীদের। আর তা দেখতে প্রতিবছরই দূরদুরান্ত থেকে লাখো লাখো মানুষের ভিড় জমত জেলাসদর বারাসতে। কিন্তু করোনার জেরে এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা।

ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে এবছর বারাসতের বিগ বাজেটের পুজো কমিটি গুলোর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে,বড় কোনও কালীপূজো হবেনা। পরিবর্তে বাজেটের বেশিরভাগ টাকাই দুঃস্থ,আত্ম মানুষের সেবায় খরচ করা হবে। ফলে,বারাসতের ঐতিহ্যবাহী কালীপূজোর আনন্দ থেকে এবার বঞ্চিতই থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। মূলত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পুজো মণ্ডপ গুলিতে মানুষের ভিড় এড়াতে এবছর সমস্ত পূজো মণ্ডপ ছোট করে পুজো করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/focus-on-south-bengal-amit-shah-will-come-for-two-days-visit-in-bengal/

এই বিষয়ে তরুছায়া ক্লাবের কর্মকর্তা শুভ দাস বলেন,”এবছর ৫১ তম বর্ষে পা দিল তরুছায়া ক্লাবের পুজো। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছর আমরা তিনদিক খোলা মণ্ডপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে মানুষ বাইরে থেকেই মণ্ডপের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। করোনা আবহে এবার বারাসতের সমস্ত বড় পুজো হবে জৌলুস হীন।আলোকসজ্জাও থাকবে না সেভাবে। বাজেটের একটা বড় অংশের টাকাই আমরা খরচ করব মানবসেবার কাজে।যাতে কোরোনা সংকটকালে তাঁদের মুখে একটু হাসি ফোটানো যায়”।

বিষয়টি নিয়ে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন,”সম্প্রতি পৌরসভা,পুলিশ প্রশাসন ও বড় পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের সম্বলিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে এবছর বারাসতে জাঁকজমক ভাবে কালীপূজো হবে না। বৈঠকে সকলেই পরিকল্পনা নিয়েছে পুজো মণ্ডপ হবে তিনদিক খোলা রেখে। পুজো মণ্ডপের পাশাপাশি আলোকসজ্জাতেও কোনও জৌলুস থাকছে না।পুজো কমিটির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি”।

সম্পর্কিত পোস্ট