রাজস্থান লড়াইয়ে বেহেনজির প্রবেশ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজস্থানের রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝে যেন একটু আলো খুজে পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। ১০২ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে রাজভবনে ধর্না দেন তিনি।
কিন্তু এরই মাঝে নতুন করে বিপদ দেখা দিল। সরকার গঠনে কংগ্রেসকে সমর্থন করলে দল তাঁকে বহিষ্কার করবে। রাজস্থানের বহুজন সমাজবাদী পার্টির বিধায়কদের ওপর হুইপ জারি করলেন মায়াবতী।
অশোক গেহলোটের কাছে এখনও অবধি বিধায়ক ছিল ১০২ জন। যা ম্যাজিক ফিগারের তুলনায় মাত্র এক বেশী। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্থানে পুরভোটের সময় কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠনে যোগদান করেন মায়াবতী দলের ছয় বিধায়ক আর গুধা, লক্ষণ সিং, দ্বীপ চাঁদ, জেএস আওয়ানা, সন্দীপ কুমার এবং ওয়াজিব আলি।
দলের এই ছয় বিধায়কদের ওপর আলাদাভাবে এবং একসঙ্গে হুইপ জারি করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিএসপি সচিব জানিয়েছেন, যদি দলের বিধায়করা দলের কথা অমান্য করে, তবে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
এর আগে রাজস্থানের সরকার গঠনের জন্য বিএসপির যোগদানকে ঘিরে রাজস্থান হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন বিজেপি নেতা মদন দিলাওয়ার। রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝে পুরানো পিটিশন তুলে নিয়ে ফের নতুন করে পিটিশন জমা দেন তিনি।
করোনা: তৃতীয় ট্রায়ালের জন্য সারা দেশে পাঁচটি ক্লিনিকাল সাইট
বিএসপি প্রধান মায়াবতী বলেন, এর আগে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বারবার তার দলের বিধায়কদের সঙ্গে অবমাননা করা হয়েছে। অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেইসঙ্গে গেহলোট সরকারকে উচিত শিক্ষা দিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কুরশি রক্ষা করতে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রকে অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন শুরু করার লিখিত আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে জানান, চলতি মহামারি এবং অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করার জন্য অধিবেশন শুরু করতে চান তিনি।
বিধানসভা শুরুর জন্য গ্রীন সিগন্যাল দিলেও রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে কতগুলি প্রশ্ন সামনে তুলে ধরেন।
এক, “আপনি কি আস্থা ভোটের জন্যই বিধানসভার অধিবেশন শুরু করতে চাইছেন? কিন্তু সে ব্যাপারে আপনি লিখিত কিছু জমা দেননি।
কিন্তু জনসমক্ষে আপনি আস্থাভোটের কথাই বলে বেড়াচ্ছেন। যদি সেটাই হয় তাহলে এই মহামারিতে সকল বিধায়কদের ডেকে পাঠাতে ২১ দিনের সময় দিতে হবে।
তার জন্য কি রাজি আপনি?” আর শারীরিক দুরত্ব বজায় কিভাবে রাখবেন?সেই প্রশ্নও তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র।
মাথার ওপর জমাট বাঁধা কালো মেঘ সরাতে মন্ত্রীসভার বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট। সঠিক সময়ের ভিতর উত্তর না দিতে পারলে আসন্ন মরুঝড়ে নিজের গদি ঠিক রাখা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে গেহলোটের জন্য। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।