কেন্দ্রের ডাকা এনপিআর বৈঠকে থাকছে না বাংলা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দেশজুড়ে এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে লাগাতার প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন বিরোধীরা। প্রায় প্রত্যেক দিন একই ইস্যুতে মিছিল আন্দোলন করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরই মধ্যে এপ্রিলের প্রথম দিন থেকে জাতীয় জনগণনা পঞ্জি বা এনপিআর এর সংগ্রহের কাজ শুরু করার ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এনপিআর নিয়ে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে বাংলা হাজির থাকবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কেন্দ্রের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “পারলে ওরা সরকার ভেঙে দেখাক”।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচনের ময়দানে দরকার নতুন মুখ, লড়াকু মুখ
শুক্রবার বৈঠকের প্রতিনিধিত্ব করবেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এবং স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। যদিও নবান্ন সূত্রের খবর, শুধুমাত্র জনগণনা নিয়ে বৈঠক হলে যোগ দিতে পারে বাংলা।
এনপিআর পদ্ধতিতে জনগণনার প্রথম ধাপে প্রতিটি বাড়ির চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি এনপিআর তথ্য সংগ্রহ করবে আরজিসিসিআই। তথ্য সংগ্রহের কাজ করবেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এতদিনে আকজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে তা জানতেই এদিন বৈঠকের ডাক দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সূত্রের খবর, মানুষকে এনপিআর বিষয়ে বুঝিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন তাঁরা। তথ্য সংগ্রহের পুরো কাজই হবে মোবাইলের মাধ্যমে।
ইতিমধ্যেই এনপিআর ইস্যুতে বাংলা, কেরল সহ ১৩ টি রাজ্য মৌখিকভাবে বিরোধিতা করলেও এখনও কোনও রাজ্যের তরফে লিখিত আবেদন জমা পরেনি বলে দাবী করছে আরজিসিসিআই।
যদিও এদিনের বৈঠকে কতগুলি রাজ্যের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন সেটা দেখেই পরবর্তী রণকৌশল স্থির করবে মোদি সরকার। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নবান্ন সূত্রের খবর, দিল্লির এনপিআর বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না কোনও অফিসার। যেহেতু গোটা বিষয়টি আরজিসিসিআইয়ের অধীনের হচ্ছে, তাই জনগণনার দায়িত্বে থাকা আইএএস অফিসার বিশ্বনাথ এদিন কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে থাকতে পারেন। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।