মানুষ বিজেপিকে যতটা ভাবছে, তারচেয়ে বড় বিপদ বিজেপি- তীব্র কটাক্ষ ডেরেকের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় চতুর্থ দফার ভোটের আগে বাক্যবান অব্যাহত, শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে, অমিত শাহ এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিলেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডেরেক ও ব্রায়েন এবং মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তাঁদের দাবি,বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি আসলে সবটাই ভাওতা। তৃণমূলের এই বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য একটি ভিডিয়োও তুলে ধরেন তাঁরা।
যেখানে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ করে টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আসলে ছিল জুমলা। এ কথা অন্য কেউ নন, বলছেন স্বয়ং কেন্দরীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এসব তুলে ধরতে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ডেরেক প্রথমেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একহাত নেন। তিনি তাঁকে ‘জুমলাবাজ’ বলে কটাক্ষ করেন।
তিনি বলেন যে, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখনই কলকাতায় আসেন, তখনই বড় বড় কথা বলেন। মিথে কথা বলেন, ঢপ দেন। আমরা ওনাকে বলি গুলবাজ, ঢপবাজ। ওনি বুঝে গেছেন, বিজেপি কী ফল করবে। জুমলাবাবু আপনি তো বাংলা বোঝেন না। ইলেকশনের আগেই বলেছিলেন ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন। কোথায় টাকা? নন্দীগ্রামে বিজেপি হারছে। বাংলাতেও বিজেপি হারছে।’
এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহের একটি পুরনো ভিডিও তুলে, বিজেপি যে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এখনও দিয়ে চলেছে, তার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যেখানে সাংবাদিকের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দেখা যায় অমিত শাহকে। যেখানে সাংবাদিককে প্রশ্ন করতে শোনা যায় যে, ১৫ লক্ষা টাকা মানুষের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার যে কথা বলা হয়েছিল, তার কী হল?
শিল্পাঞ্চলের চাবিকাঠি কার হাতে, চতুর্থ দফায় নির্ধারিত লড়াইয়ে এগিয়ে কারা?
উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, ‘দেখুন এসবই জুমলা। সেটা সবাই জানেন। সরকার চালাতে গেলে এমন অনেক কিছুই বলতে হয়।’ এই ভিডিও দেখিয়ে ডেরেক বলেন যে, যখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় আসবেন, তাঁকে এই উপহার দেওয়া হবে।
মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন যে, ইলেকশন কমিশন একটি পার্টির হয়ে কাজ করছে। একাধিক অভিযোগ কমিশনে জানানো হয়েছে। তাও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।
পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ দেওয়া প্রসঙ্গে পূর্ণেন্দু বসু বলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যত নোর্টিশ পাঠানো হবে। তিনি তত উত্তর দেবেন। সে জন্য তিনি তৈরি আছেন।
পূর্ণেন্দু বসু এদিন স্পষ্ট করে বলেন, মানুষ বিজেপিকে যতটা বিপদ ভাবছে, আসলে বিজেপি তার চেয়েও অনেক বড় বিপদ। সেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হলে মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই আবার ফেরাতে হবে।
পূর্ণেন্দু জানান, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার ফের গঠিত হলে গোটা ভারতে এর প্রভাব পড়বে। যে অগণতান্ত্রিকতার দিকে দেশে চলেছে, তা থেকে সরে আসবে। পূর্ণেন্দু বলেন– মোদী, অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথদের আমরা ডেলি প্যাসেঞ্জার বানিয়ে দিয়েছি। দু’দিন পরপরই বাংলায় চলে আসছেন। তবে এর কিন্তু কোনও লাভ হবে না। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলই সরকার গঠন করবে।