ভাঙছে জোট, ভোটের আগে চিন্তায় বিরোধীরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিহার নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিয়েছে মুখ্যনির্বাচন কমিশন। আসন বন্টন নিয়ে তেজস্বী যাদবের সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝে বেরিয়ে যায় বিকাশশীল ইনসান পার্টি। নির্বাচনের আগে জোটের সঙ্গি দলছুট হওয়াকে ভালোভাবে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।
ভিআইপি সূত্রের খবর, নির্বাচনে ২৫ টি আসনে লড়াইয়ের পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী পদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তেজস্বী। কিন্তু সময় আসতে বদলে নিলেন সিদ্ধান্ত। তেজস্বীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে দলের প্রধান মুকেশ মল্লাহ।
বিহারে দলিত ভোটের বিরাট অংশ যায় আরজেডির ঝুলিতে। মুকেশ মল্লাহর কথায়, দলিত এবং পিছিয়ে পড়া দল হওয়া সত্ত্বেও আরজেডি আরও একটি পিছিয়ে পড়া দলকে ছুরি মেরেছে। বিহারের ভোটে মানুষ শিক্ষা দেবে।
২০১৮ সালে রাজনীতিতে পদাপর্ণ মুকেশ সাহানীর বিকাশশীল ইনসান পার্টির। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তিনটি আসনে লড়াই করেছিল তাঁরা।
কিন্তু একটিও আসন মেলেনি। ছোট দল হলেও বিহার বিধানসভায় দলিত ভোটের ওপর এর প্রভাব পড়বে বিলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
http://sh103.global.temp.domains/~lyricsin/thequiry/cm-mamata-banerjee-going-jangalmahal-after-visit-northbengal/
যদিও আরজেডির কথায় এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি ভিআইপিকে দেওয়া হয়নি। এভাবে জোট থেকে সরে গিয়ে নিজেদের পায়ে কুড়ুল মারছে ছোট দলগুলি।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগেই বিরোধী জোট থেকে সরে গিয়ে নীতিশ কুমারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন জীতেন রাম মাঞ্জি। ফলে দলিত ভোট ব্যাঙ্কে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখানেই ফায়দা তুলতে পারে নীতিশ কুমারের দল।
যদিও বিহারের নির্বাচনে নীতিশ কুমারের অবস্থান কোথায়? তা বলা সম্ভব নয়। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আসন বন্টন নিয়ে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদব।
১৪৪ টি আসনে লড়াই করবে লালু যাদবের দল। সেখান থেকেই আসন বন্টন হবে জেএমএমের সঙ্গে। ৭০ টি আসনে লড়াই করবে কংগ্রেস। ২৯ আসনে লড়াই করবে বামেরা।