‘ভাবি মুখ্যমন্ত্রী’-র জন্মদিন সেলিব্রেশন বিহার জয়ের আগাম উল্লাস!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাত পোহালেই পড়শি রাজ্যের নির্বাচনী গণনা। কোন দিকে রয়েছে বিহারের জনসমর্থন? ১৫ বছরের রাজত্বের পর ফের আর এক দফায় আসতে চলেছেন নীতিশ কুমার? নাকি মহাজোটের পক্ষে রায় দিয়েই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করবে বিহারের জনতা?
Rashtriya Janata Dal leader Tejashwi Yadav celebrated his birthday with his family pic.twitter.com/nb84nT2C85
— ANI (@ANI) November 9, 2020
বিহারের বুথ ফেরত সমীক্ষা অনুসারে এই মুহুর্তে পাল্লভারি তেজস্বীর। সোমবার জন্মদিনে শুভেচ্ছায় গোটা পাটনা শহর জুড়ে ছেয়ে গিয়েছে ‘ভাবী মুখ্যমন্ত্রী’ হোর্ডিং। এদিন টুইট করে তেজস্বীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। জন্মদিনের উচ্ছ্বাসের আবহাওয়া যেন জয়ের আগাম উল্লাস এনেছে আরজেডি শিবিরে। সেদিক থেকে উচ্ছ্বাসের ভাটা পড়েছে এনডিএ শিবিরে। তবে জেডিইউয়ের বেশ কিছু বর্ষীয়ান নেতার কথায় আগামী ৫ বছরের জন্য নীতিশ কুমার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
অন্যদিকে সমীক্ষায় পাল্লাভারি থাকায় ঘর গোছাতে শুরু করেছে কংগ্রেস। ঘোড়া কেনাবেচা থেকে বিধায়কদের দূরে রাখতে রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং অবিনাশ পান্ডে উপস্থিত হয়েছেন পাটনায়। গোয়া এবং মণিপুরে কংগ্রেস বিধায়কদের সমর্থনে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। তাই অতীতের থেকে শিক্ষা নিয়ে নির্বাচিত বিধায়কদের একত্রিত করতে এআইসিসির দুই সদস্যকে পাঠিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী।
নির্বাচনী ময়দানে তেজস্বীর ইস্যুকে কাউন্টার করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে এনডিএ শিবিরের তাবড় নেতাদের। বেকারত্ব ইস্যু এই মুহূর্তে সারা দেশের মধ্যে একটি বিরাট সমস্যা। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলা, অর্থনীতি এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ এই ইস্যু গুলোতে প্রশ্ন তুলে দিয়ে জনগণের সমর্থন কি পাবেন তেজস্বী? তেজস্বীর জনসভায় যেভাবে মানুষের ঢল নেমেছিল, তা যদি ভোট ব্যাঙ্কে পরিবর্তিত হয় ব্যাপক মার্জিনে জয় হবে মহাজোট শিবিরের।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এবারের নির্বাচনে বারবার লালু প্রসাদ যাদবের ‘জঙ্গলরাজ’ এর কথা নীতিশ কুমার এবং নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করলেও নির্বাচনী ময়দানে লালু প্রসাদের কোনও ছবিই ব্যবহার করেনি আরজেডি। যা বিহারের মাটিতে হাওয়া বদলের জন্য একটা বিরাট ফ্যাক্টর হতে পারে।
বিহারের এনডিএ শিবিরে ফাটল অনেক আগে থেকেই ধরেছিল। বিহারের বন্যা এবং করোনা মোকাবিলা সহ একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের বিরোধিতায় কথা বলতে দেখা গিয়েছে লজপা প্রধান চিরাগ পাসোয়ানকে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এবারের নির্বাচনে লজপার আলাদা করে লড়াইয়ের রণনীতি মহাজোটের পালে হাওয়া দেবে। তাই করোনার কথা মাথায় রেখে দলীয় নেতৃত্বের কাছে তেজস্বীর আবেদন, নির্বাচনী ফলাফল যাই-ই হোক না কেন কোনও মিছিল উৎসব করা যাবে না।
মঙ্গলবারের ফলাফল যদি তেজস্বীর দিকে যায় তাহলে ভারতের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী হবেন তিনি।