Bimal Gurung on GTA Election : অশান্তির কালো মেঘ পাহাড়ে, অনশনের হুঁশিয়ারি গুরুংয়ের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মাত্র একদিন আগে আশা তৈরি হয়েছিল দার্জিলিং পাহাড়ে চিরস্থায়ী শান্তি ফিরবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় ছাড়ার আগেই ফের উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা দার্জিলিং পাহাড়ে। তৃণমূলের অধুনা শরিক বিমল গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান না করে জিটিএ ভোট হলে তিনি আমরণ অনশনে বসবেন!

 

Congress : জাতীয় রাজনীতির দায় বহন করতে গিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ফাঁকা হচ্ছে কংগ্রেসের ঘর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিং শহরে এসে পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করেন। গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়াও আনীত থাপার গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha), হরকাবাহাদুর ছেত্রীর জনআন্দোলন পার্টি, অজয় এডোয়ার্ডের হামরো পার্টির (Hamro Party) সঙ্গেও মুখোমুখি বৈঠক করেন। সেখানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বাদে পাহাড়ের বাকি রাজনৈতিক দলগুলি অবিলম্বে জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে মত দেয়। মুখ্যমন্ত্রীও জানান মে-জুন মাসের মধ্যে তিনিই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন সেরে ফেলতে চান। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়েও আশ্বাস দেন তিনি।

এরপরই বেঁকে বসে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তাদের দাবি, পূর্বপ্রতিশ্রুতি মতো পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করতে হবে। তারপর নির্বাচনের কথা ভাবা যাবে। গুরুংরা ইতিমধ্যেই পৃথক রাজ্যের দাবি ছেড়েছেন। কিন্তু রাজ্যের মধ্যে থেকেই আরও স্বায়ত্বশাসনের পক্ষে সুর চড়িয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।

এই পরিস্থিতিতে আগামী ২ এপ্রিল পাহাড়ের সবকটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। যদিও সেই বৈঠকে সবাই আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। এই পরিস্থিতিতে বিমল গুরুংয়ের অনশনের হুঁশিয়ারিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেকের ধারণা পাহাড়ে এই মুহূর্তে বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে তাঁরা খুব একটা ভালো ফল করতে পারবেন না। তাই অতিরিক্ত স্বায়ত্তশাসন আদায় করে রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখাই লক্ষ্য বিমল গুরুংয়ের।

সম্পর্কিত পোস্ট