করোনা আক্রান্তদের হয়রানি রুখতে নয়া উদ্যোগ সরকারের, হাসপাতালের শয্যা সংক্রান্ত মিলবে ওয়েবসাইটে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি সংক্রান্ত হয়রানি থেকে মুক্তি দিয়ে দ্রুত এবং সুলভ চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
করোনা আক্রান্তদের ভর্তি করার জন্য যাতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে না হয় সে জন্য হাসপাতালে শয্যা সংক্রান্ত তথ্য সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা আজ নবান্নে করোনা চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শহরের সব হাসপাতাল ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকের পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন সরকারি হাসপাতালে শূন্য শয্যা সংখ্যা আজ সন্ধ্যা থেকেই স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। বেসরকারি হাসপাতালে কত শয্যা ফাঁকা রয়েছে সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য শুক্রবার থেকে রাজ্যের মানুষ ওয়েবসাইট থেকে পাবেন বলে মুখ্য সচিব জানান।
‘ইমিউনিটি সন্দেশ’ বাড়াবে করোনা প্রতিরোধক ক্ষমতা
এছাড়াও শয্যা সংক্রান্ত তথ্য প্রতিটি হাসপাতালের বাইরে বিজ্ঞাপিত করার পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মুখ্য সচিব বলেন, শহরের বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে এক হাজারের বেশি শয্যা রয়েছে। এরমধ্যে ৫০ শতাংশই এখনো শূন্য বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ১০ হাজারের বেশি কোভিড শয্যা রয়েছে।
এর মধ্যে ৮ হাজার শয্যা এখনো শূন্য। বেসরকারি হাসপাতালগুলো আজকের বৈঠকে শয্যা সংখ্যা আরো বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পাশাপাশি মৃদু উপসর্গ বিশিষ্ট করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০৪টি সেফ হোম সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। একই রকম ভাবে বেসরকারি হাসপাতাল গুলি স্যাটেলাইট হেলপ ফেসিলিটি তৈরি করছে। এর ফলে কোভিড হাসপাতালগুলোর ওপর আগামী দিনে চাপ আরো কমবে।
রোগী প্রত্যাখ্যান বন্ধ করার পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার খরচ কমানোর ওপর এদিনের বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে। করোনা চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট প্যাকেজ তৈরি করতেও বলা হয়েছে।
মুখ্য সচিব জানান রাজ্য সরকার এই বিষয়টির ওপর নজর রাখছে। জরুরি অস্ত্রোপচার ও গুরুতর রোগের চিকিৎসা করোনা পরীক্ষার জন্য ফেলে রাখা যাবেনা বলেও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।