বাজার শুধু বাজার, এ কেবলই বাজার গরমের খেলা…
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ খেলছে। আপনি খেলছেন, আমি খেলছি, সবাই খেলছে। সদ্য ১৬ আগস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস গিয়েছে। কিন্তু গোটা বাংলা এখনও খেলছে। তবে মাঠে নয়, এ খেলা বাজার গরমের খেলা। তাই বিচারপতি একদল রাজনীতিবিদের সম্পত্তি নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলে বাকি পক্ষের রাজনীতিবিদদেরও একই ধরনের তদন্তের আওতায় আনার দাবি।
সে ছাই নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ থাকুক বা না থাকুক। একেই হয়তো বলে প্লেয়িং লেভেল, তাই তৈরির চেষ্টা আরকি। যাকে বলে পুরো একেবারে খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব! তাই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা।
আবার আদালতের রায় বা নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ বের হওয়ার আগে রাজনীতিবিদের পরিবার নিয়ে সমাজ যেন রায় ঘোষণা করে দিচ্ছে।
এদিকে কেষ্ট মণ্ডল দলনেত্রীর থেকে অক্সিজেন পেয়েই সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সাংবাদিককে বলে বসেছেন, “তুমি কোন হরিদাস পাল?” জমজমাট মেজাজের খেলা। যে যার তালে খেলছে। বাজার গরমের খেলা। যে সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর অনেকে ভেবেছিলেন, যাক ইনি অধ্যাপক মানুষ, অন্তত দিলীপ ঘোষের মতো অস্বস্তিকর কটু বাক্যবান থেকে রেহাই পাবে রাজ্যবাসী। কিন্তু কোথায় কী! যেই বুঝেছেন সরকার একটু বেকায়দায় পড়েছে, ওমনি ঝান্ডার থেকে ডাণ্ডা বড় রাখার হুঙ্কার ছাড়তে শুরু করেছেন সুকান্ত।
‘কেউ ছড়া পাবে না’, এ পার্থর হতাশার বহিঃপ্রকাশ, নাকি…
খেলা হচ্ছে। যে তন্ময় ভট্টাচার্য সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর স্থায়ী সদস্য পদ থেকে বাদ পড়তেই রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন, মওকা বুঝে তিনিও ফেসবুকে মিটিং-মিছিলের ডাক দিয়েছেন দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে! এ ভারি আজব দুনিয়া, তবে খেলার দুনিয়া।
যে যার তালে আছে। অন্যের গোলে বল ঢুকিয়ে দিয়ে স্কোরবোর্ডে শুধু নিজে এগিয়ে যাওয়ার মতলব। কিন্তু বেহাল রাজ্যটার কী হবে, ওই অসহায় চাকরিপ্রার্থীগুলোর কী হবে, প্রতারিতরা কী করে বাঁচবে সেসব এখন সেকেন্ডারি। এখন শুধু খেলা চলছে, জমজমাট খেলা! গোওওওওওলললললল…..