বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে বাণিজ্য চালু

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের দু‘দেশের চেকপোস্টে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। 

||আবু আলী, ঢাকা||

আগের নিয়মে কাস্টমস পারমিট নিয়ে দুই দেশের সিএন্ডএফ এজেন্টের স্টাফরা উভয় চেকপোস্টে যাতায়াত করতে পারবেন। সম্প্রতি নেওয়া এমন সিদ্ধান্তের পর ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও সচল হয়েছে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের দু‘দেশের চেকপোস্টে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসন ও বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সন্তোষজনক আলোচনা শেষে আমদানি-রফতানি সচল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ দিল্লির গণহিংসার ঘটনায় উদ্বেগ মার্কিন মুলুকে, ট্রাম্পকে বিঁধলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বেরনি স্যান্ডার্স

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘আগামি ২০ মার্চ পর্যন্ত আগের নিয়মে দু‘দেশের সিএন্ডএফ স্টাফরা কাস্টমস পারমিট নিয়ে যাতায়াত করবে। এর মধ্যে দুই পক্ষ আরও একবার আলোচনায় বসে এ বিষয়ে স্থায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘দুই দিন আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সরকারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ে ব্যাহত হয়েছে। আর ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়েছে ১০ কোটি টাকা।’
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, ‘ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪৫০ ট্রাক বিভিন্ন পণ্য আমদানি এবং ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য রফতানি হয়ে থাকে।
আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক ও খাদ্যদ্রব্য রয়েছে। রফতানি পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর এ বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।

সম্পর্কিত পোস্ট